চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক ঘটছিলো চুরির ঘটনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ভূমি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ, ঘর বাড়ি কোনটিই রেহায় পায়নি সংঘবদ্ধ চোর চক্রের কবল থেকে। একের পর এক চুরির ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। একপর্যায়ে পৃথক এসকল চুরির ঘটনার তদন্তে নামে মিরসরাই থানা পুলিশ। চুরির ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে চট্টগ্রাম নগরী এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় বন্দুক ও চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-চট্টগ্রামের সন্দীপ উপজেলার গাছুয়া থানার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে হুমায়ুন কবির (৪০), নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার অম্বল নগর এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৮), চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানার অজুদ ভুঁইয়ার ছেলে আক্তারুজ্জমান রাজু (৩২)।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) ইফতেখার হাসান মিরসরাই থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা শক্তিশালী চোর সিন্ডিকেটের সদস্য। তারা চট্টগ্রামকে চার ভাগে ভাগ করে সিন্ডিকেট তৈরি করে গণহারে চুরির কাজ সংঘটিত করতো। তারা দিনের বেলায় নির্দিষ্ট এলাকা গিয়ে ছক কষতো। রাতে সুযোগ বুঝে চুরি করতো। তাদের মূল টার্গেট ছিলো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর এবং ইউনিয়ন পরিষদ দপ্তর।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

তিনি আরও জানান, শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতাল এলাকায় একটি চোরাই মোটর বাইকসহ হুমায়ুন কবির ওরফে কবির নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। এসময় তার কাঁধে থাকা ব্যাগ জব্দ করে তা থেকে চুরির কাজের ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে তল্লাশি করে দেশি একটি এলজি এবং ২ কার্তুজ গুলি উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত হুমায়ুন কবিরের দেয়া তথ্যানুযায়ী চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজীদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর-ডাকাত দলের দেলোয়ার হোসেন ও আক্তারুজ্জামান রাজু নামে আরও ২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় দেলোয়ারের ভাড়া বাসা থেকে চুরি হওয়া ১০টি ল্যাপটপ ও একটি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানা ও মিরসরাই থানায় চুরি-ডাকাতি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মিরসরাই থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনকে রবিবার আদালতে নেওয়া হবে। আমরা তাদের থেকে আরও তথ্য পেতে বিজ্ঞ আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করবো।’