দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সরকার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে জিম্মি করে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র যেমন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত ঠিক তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর দ্বারা জিম্মি। কথা বলতে গেলে বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী ও জনগণের ওপর সন্ত্রাসীদের মতো বর্বরোচিত কায়দায় ঝাঁপিয়ে পড়ে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মতো পবিত্র স্থানকে দলবাজির কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, প্রতি বছর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে সমন্বয় ও শৃঙ্খলা বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এ বছর উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচির সময়সূচি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে অনুরোধ করিয়ে পেছানো হয়। আওয়ামী লীগ রহস্যজনক কারণে তাদের প্রভাতফেরির সময় রুট পরিবর্তন করে বিএনপির পূর্বঘোষিত প্রভাতফেরিকে প্রলম্বিত করে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালায়।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততার কারণে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন সংগঠনকে প্রভাতফেরির লাইনে না দাঁড়িয়ে তাদের বিএনপিসহ অন্যান্য দল ও সংগঠনের আগে যেতে দেওয়া হয় এবং যার ফলশ্রুতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনে বিএনপিসহ অন্যান্য সংগঠনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সকাল সাড়ে সাতটায় নিউ মার্কেটস্থ বলাকা সিনেমা হলের সামনে থেকে প্রভাতফেরি শুরুর ৫/৬ ঘণ্টা পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছাতে ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এ বিষয়ে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল টিম কর্তৃক ন্যাক্কারজনক হামলার শিকার হতে হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ অন্য নেতাদের।

বিবৃতিতে এ ধরনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।