বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, বতর্মান আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো জনসমর্থন নাই। দেশে ও দেশের বাইরে তাদের কোনো বন্ধু নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ২০টি আসনও পাবে না।

নওগাঁয় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির আগে এক পথসভায় এ কথাগুলো বলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকায় এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

মিজানুর রহমান মিনু বলেন, এই সরকার হত্যা ও গুমের নায়ক এবং দুর্নীতিবাজ। তাদের দুর্নীতির কারণে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা বিদেশী পাচার হয়ে গেছে। এই সরকারের যারা তোষামোদী করছেন তাঁরা ভুলে যান। এই দেশ জনগণের। বর্তমান স্বৈরাচার সরকার এই দেশের গণতন্ত্রকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। বিএনপি চেষ্টা করছে সেই গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য। আমরা ৪ মার্চ গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ ১০টি মহানগরীতে নতুন কর্মসূচি আসছে। সেই কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতনের আন্দোলন আরও বেগবান হবে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বর্তমান সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণ বিএনপির সাথে আছে। সারা বিশ্ব আমাদের বন্ধু। দেশে এবং দেশের বাইরে এই সরকারের কোনো বন্ধু নেই। শুধুমাত্র গায়ের জোরে তাঁরা ক্ষমতায় টিকে আছে। প্রশাসনের ৮০ শতাংশ লোক নিরপেক্ষ এবং দেশপ্রেমিক। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের মতো নির্বাচন হলে বিএনপি বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ২০০১ সালের ২২১ আসনের চেয়েও বেশি আসন পাবে। বর্তমান সরকার ২০টি আসনও পাবে না।

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক (নান্নু)। এ সময় অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌর মেয়র নাজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন, যুগ্ন আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, মামুনুর রহমান, শেখ রেজাউল ইসলাম ও শফিউল আজম, মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম বুলেট, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফজলে হুদা বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শহরের নওজোয়ান মাঠ থেকে দুপুর ১টার দিকে শুরু হয় পদযাত্রা। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক ধরে মুক্তির মোড়, কাজীর মোড় ও দয়ালের মোড় হয়ে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।