চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কোনো পরামর্শ নেই বলে দাবি করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রোববার (১৪ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপির চেয়ারপারসন গৃহবন্দি। সুতরাং দলের কর্মসূচি গ্রহণ ও পালনের ক্ষেত্রে তার পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ নেই। তাকে বার বার ভিন্ন ট্র্যাকে নিয়ে আসছেন কেন?”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে সরকারে ওপর যখন চাপ, তখন জিয়াউর রহমান ইস্যুতে ৫০ বছর আগের কিছু মিথ্যা তথ্য সামনে এনে মামলা করেছে সরকার। এর মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে সরকার। সরকারের সুবিধাভোগী সংসদ সদস্য নাহিদ ইজার খান জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করেছেন। বর্তমান সরকারের ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করেছেন নাহিদ।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “বিএনপির নেতৃত্বে দেশের চলমান ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে শেখ হাসিনা ও তার কুশীলবেরা নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। নাহিদ ইজাহার খানের মামলা সেই লাগাতার ষড়যন্ত্রের একটি ঘৃণ্য উদাহরণ মাত্র। গণবিচ্ছিন্ন এই দখলদার সরকারের তরফে আগামীতে এ ধরনের ষড়যন্ত্র চলমান থাকবে। বিশেষ করে সরকার পতনের সময়কাল যত এগিয়ে আসবে, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপির বিরুদ্ধে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের মাত্রা আরও বাড়বে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব ধরনের ষড়যন্ত্রের জাল নস্যাৎ করে দেব। দুর্যোগে দলের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
বিপি/এএস