গণঅধিকার পরিষদে এখন গৃহদাহ চরম পর্যায়ে। অব্যাহতি পালটা অব্যাহতি চলছে। সংগঠনের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া নুরুল হক নূর ও রাশেদকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদে নূরদের সঙ্গে আন্দোলনে থাকা হাসান আল মামুনকে গণঅধিকারের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

মঙ্গলবার ড. রেজা কিবরিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নূর ও রাশেদকে এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোরও নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আহ্বায়কের সাংগঠনিক ক্ষমতাবলে পরবর্তী নির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত হাসান আল মামুনকে (মো. আল মামুন) ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসাবে মনোনীত করছি।’

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এতে বলা হয়, ‘ইসরাইলসহ বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, অনৈতিক আর্থিক লেনদেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সভা আয়োজন ও অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনোনয়ন করা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে নুরুল হককে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এছাড়াও অব্যাহতি দেওয়ার আরও কারণ হলো তার বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্র, ২১ দফা কর্মসূচি, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং মূলনীতি বিরোধী কাজ করা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান, মানি লন্ডারিং আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করায় কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো।’

তবে রেজা কিবরিয়ার সিদ্ধান্ত আমলে নিচ্ছেন না নুরুল হক নূর। তিনি বলেন, ‘অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। দেশের বাইরে থেকে কীভাবে তিনি অব্যাহতি দেন। গণঅধিকার পরিষদে রেজা কিবরিয়ার কোনো ভিত্তিই নেই।’

এদিকে দলটির দুই নেতার পালটাপালটি সিদ্ধান্তে গণঅধিকার পরিষদে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর আগে সোমবার রাতে রেজা কিবরিয়াকে বাদ দিয়ে রাশেদ খানকে গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও দপ্তর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ওই সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে জানিয়েছিলেন ড. রেজা কিবরিয়া।

বিপি/এএস