শেরপুর সদরের গাজীরখামার ও নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের অর্ধশত মানুষকে এক পাগলা কুকুরে কামড়িয়ে আহত করেছে।সোমবার(২২জানুয়ারী) সকাল ৯ টা থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে অনেকেই জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতদের স্বজনেরা জানান, সোমবার সকালে শেরপুর সদরের গাজীরখামার ও নালিতাবাড়ীর কলসপাড় এলাকায় এক কুকুর অস্বাভাবিকভাবে এদিক–ওদিক দৌড়াতে থাকে। একপর্যায়ে কুকুরটি যাকেই সামনে পায় তাকেই কামরানো শুরু করে। এরপর এলাকাবাসী ধাওয়া করলে কুকুরটি পালিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে বয়স্ক নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৫০ জনকে কামড়ে আহত করে। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। 

রোগীর স্বজন হেলাল বলেন, আমার দাদী বাড়ীর বাইরে বের হইলে পাগলা কুকুড় এসে কামড় দিছে। আমাদের এলাকায় আরও ৫০ জনকে কামড় দিছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আরেক রোগীর স্বজন সোলায়মান বলেন, আমার বাবা ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিলো। সেখানেই কামড় দিছে। হাসপাতালে এসে ভেকসিন পায় নাই। দোকান থেকে ৪ জনে মিলে কিনে নিয়ে তারপর হাসপাতালে গিয়ে দিয়ে নিলাম।

রোগী রোকেয়া বলেন, আমি বাড়ির বাইরে হাটতাছি। তখন কুকুড় আইসা কামড় দিছে। হাসপাতালে আইছি টিকাও নাই। দোহান থাইক্কা কিন্না নিয়া দেওন লাগতাছে।

এদিকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন না থাকায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. জসিম উদ্দিন জানান, এই মুহুর্তে আমাদের হাসপাতালে কুকুড়ে কামড়ানোর ভেকসিন সরবরাহ নাই। তবে আগামী সপ্তাহে সরবরাহ আসবে। তখন তাদেরকে সরকারিভাবে ভেকসিনের ব্যবস্থা করা যাবে। তবে এখন ৪ জন মিলে ৬০০ টাকা করে ভেকসিন কিনে আনছে আমরা দিয়ে দিচ্ছি। কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে অনেকেই জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হচ্ছে।