ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ)ভুক্ত ২৫টি দেশের ৮১টি সংবাদ মাধ্যম নিষিদ্ধ করেছে মস্কো। রাশিয়ার মানুষ আর এই সংবাদমাধ্যমগুলো দেখতে পারবেন না। খবর ডয়চে ভেলে।

মস্কোর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এ সংবাদমাধ্যমগুলো রাশিয়াবিরোধী খবর প্রচার করছে এবং ভুল তথ্য দিচ্ছে। এই সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অসত্য় তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও রয়েছে।

বস্তুত, রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতকে ‘যুদ্ধ’বলার পক্ষপাতী নয় রাশিয়া। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এই সংঘাতের শুরু এবং তখন থেকেই মস্কো একে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’নামে আখ্যায়িত করে আসছে। কেউ একে যুদ্ধ বললে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে একে যুদ্ধ বলছে পশ্চিমা অধিকাংশ গণমাধ্য়ম।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এর আগেও বেশ কিছু স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মস্কো। প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই গণমাধ্য়ম বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মে মাসের একটি ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। ওই মাসে ইইউ চারটি রুশ সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

অভিযোগ ছিল, ক্রেমলিনের হয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ওই গণমাধ্য়মগুলো। প্রাগের ভয়েস অফ ইউরোপও সেই তালিকায় রয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি সরাসরি পশ্চিমা বিশ্বের বিরোধিতা করে। সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছিল মস্কো।

যে গণমাধ্য়মগুলি বন্ধ করা হয়েছে, তার মধ্য়ে রয়েছে ফরাসি সংবাদসংস্থা এএফপি, জার্মানির স্পিগেল, স্পেনের এল প্য়ারিস, অস্ট্রিয়া, ইতালি এবং ইতালির জাতীয় সংবাদসংস্থা। এছাড়াও বিখ্য়াত সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

এম জি