স্বৈরাচারী সরকারের পতনে শিক্ষার্থী ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার এত দিন ধরে নির্যাতন-নিপীড়ন করলেও প্রতিশোধের মানসিকতা রাখা যাবে না। সবাই মিলে এই দেশ গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে, শান্ত থাকতে হবে।

বুধবার (৮ আগস্ট) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ‘দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চেয়ারপারসন বলেছেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বা নির্যাতনের কোনো ঘটনায় বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল কোনোভাবেই সম্পৃক্ত হবে না। বিশেষত যুবদল-ছাত্রদলকে দেশের প্রতিটি এলাকায় মন্দির-উপাসনালয় দেখে রাখার দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মির্জা ফখরুল জানান, দলের সিদ্ধান্ত হলো সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া- গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন। এতদিন সরকার পাসপোর্ট নিয়ে ঝামেলা করছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। তবে দেশের যে চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন, তারা এখনো ফ্লাই করার অনুমতি দেননি। তারা বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। চিকিৎসকরা যখনই অনুমতি দেবেন, তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘কোথায় নেওয়া হবে সেটি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি, সেই কারণে বলা যাচ্ছে না।’

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন মির্জা ফখরুল।

সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা হয়েছে। বহুদিন পর মুক্ত বেগম খালেদা জিয়াকে দেখলাম। তিনি মানসিকভাবে ভালো আছেন, শারীরিকভাবে তাকে কিছুটা ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।’

এই পরিবর্তিত সময় ও সরকার পরিবর্তনের ঘটনাপ্রবাহ বিএনপি চেয়ারপারসন পর্যবেক্ষণ করেছেন কি না জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘তিনি পুরো বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি পুরো বিষয় জানেন।’