Top

ক্যাম্পাসে এসে তোপের মুখে ইবি ছাত্রলীগ নেতা, থানায় সোপর্দ

১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ৫:১০ অপরাহ্ণ
ক্যাম্পাসে এসে তোপের মুখে ইবি ছাত্রলীগ নেতা, থানায় সোপর্দ
ইবি প্রতিনিধি :

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে পড়েছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ইবি শাখার সহ সভাপতি মামুন অর রশিদ। সে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের তৃতীয় তলায় বিভাগের পরীক্ষা কক্ষের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরে প্রক্টরিয়াল বডি, বিভাগের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করেন।

জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯ টায় বিভাগের ৩১৫ নং কক্ষে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বিবিএ’র মানউন্নয়ন পরীক্ষা শুরু হয়। ছাত্রলীগ নেতা মামুন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এদিকে তার ক্যাম্পাসে আসার খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি, শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে থানায় সোপর্দ করা হয়। তাকে নিয়ে আসার সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে কিলঘুষি মারেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে প্রকাশ্যে বিরোধীতা ও শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়া সে আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

বিভাগের শিক্ষকরা জানান, সে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলো। আমরা তাকে আসার জন্য নিষেধ করেছিলাম, তবুও সে ক্যাম্পাসে এসেছে। পরে প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের হাতে তাকে তুলে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় তাকে পরীক্ষা দিতে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। এরপরও সে পরীক্ষা দিতে এসেছে। আসার পেছনে কারোর ইন্ধন রয়েছে কিনা শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তাকে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইবি থানার ওসি মেহেদী হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে পুলিশের হেফাজতে দিয়েছেন। আমরা জানতে পেরেছি সে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আহত আরমান মীর সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় গত ৩০ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুন অর রশিদকে ১৮ নম্বর আসামি করা হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর ওই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে ৭ জানুয়ারি সে জামিন পায়।

এম জি

শেয়ার