Top
সর্বশেষ

ইবি শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের দাবিতে ভিসির বাসভবন ঘেরাও

২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ৩:৪৯ অপরাহ্ণ
ইবি শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের দাবিতে ভিসির বাসভবন ঘেরাও
মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ, ইবি প্রতিনিধি :

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কথার অবাধ্য হলে মার্কস কমিয়ে দেয়া, মেয়েদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, যৌন হয়রানি ও ছাত্রদের সমকামিতায় বাধ্য করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় ওই শিক্ষককে এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি ও একটি ইনক্রিমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। পরে ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

এর আগে গেল বছরের ৭ই অক্টোবর বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ওই শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে ভিসির কাছে অন্তত ২৭টিরও বেশি অভিযোগ তুলে ধরেন এবং মৌখিকভাবে ঘটনার বর্ণনা দেন। অভিযোগ তদন্তে ৮ই অক্টোবর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। পরে ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে কয়েক দফায় আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।

পরে গত ২২শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৬ তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী ইবির কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধি মোতাবেক তাঁকে বাৎসরিক এক টি ইনক্রিমেন্ট বাতিল করা হয়। পাশাপাশি তাঁকে ২২শে ডিসেম্বর থেকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ওই শিক্ষক যৌন হয়রানিসহ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে হেনস্থা করেন এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ চারিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করেন। এ ছাড়া ছাত্রদের জোরপূর্বক সমকামিতায় বাধ্য করা, মেয়ে শিক্ষার্থীদের পোশাক, পরিবার ও চেহার নিয়ে প্রতিনিয়ত বাজে মন্তব্য করেন এবং মেয়েদের নর্তকী, বাজারের মেয়েসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ছাড়াও এটেনডেন্সের বিনিময়ে ছাত্রলীগের মিছিলে পাঠানো, কথার অবাধ্য হলে ইন্টারনাল মার্কস কমিয়ে দেয়া, শিক্ষার্থীদের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে মারার হুমকি, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্থা, ক্লাসের শিডিউল দিয়ে ডেকে এনে জোরপূর্বক তার জন্মদিন পালন করানোর অভিযোগ করেছেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এসবের তথ্য প্রমাণ দেওয়ার পরও প্রশাসন এমন প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত নিলো, এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মনে হচ্ছে, তাকে এক বছরে জন্য ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক। আমরা লম্পটমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। প্রশাসন সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের কথা না দেওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

এনজে

শেয়ার