Top

প্রবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করুন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ৮:১২ অপরাহ্ণ
প্রবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করুন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

প্রবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)-এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি প্রবাসীর কঠোর পরিশ্রম দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। অথচ, তারা এখনও ন্যায্য অধিকার ও প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও মর্যাদার দাবিতে’ আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ড. বেলাল হোসাইনসহ দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ব্যারিস্টার ফুয়াদ প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রবাসীরা পাসপোর্ট নবায়নসহ দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কাজে দীর্ঘসূত্রিতা, প্রশাসনিক ফি প্রদানের জটিলতা, চাকরি হারিয়ে ভিসার মেয়াদ শেষ হলে গ্রেপ্তার ও নির্বাসনের ঝুঁকির মতো সমস্যার সম্মুখীন হন। এছাড়া, প্রবাসে কর্মরত অবস্থায় কেউ মারা গেলে তার মৃতদেহ দেশে আনার খরচ পরিবারকে বহন করতে হয়, যা একটি অমানবিক বাস্তবতা। সরকার ঘোষিত ক্ষতিপূরণ পেতেও পরিবারগুলোকে নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন অপরাধমূলক নেটওয়ার্কে দূতাবাসের কিছু কর্মকর্তা জড়িয়ে পড়েছেন, যা প্রবাসীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলছে। অনেক অভিবাসী শ্রমিক প্রতারণামূলক নিয়োগের শিকার হয়ে উচ্চ সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হন এবং স্বল্প পারিশ্রমিকে কাজ করতে বাধ্য হন।

প্রবাসীদের এসব সমস্যা সমাধানে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ। তার প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে—

১. আইনী সমস্যা সমাধানে দূতাবাস গুলোতে লিগ্যাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
২.বিদেশি মিশনে রেমিট্যান্স ফ্যাসিলিটেশন অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
৩. বিভিন্ন কারণে কারাগারে আটক বাংলাদেশী অভিবাসীদের আইনী সহায়তা প্রদান করতে হবে।
৪. দেশে ও প্রবাসে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী ঋণ প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।
৬. জনশক্তি রপ্তানি সিন্ডিকেট বিলুপ্ত করে নিয়োগকারী দেশের সাথে আলোচনার জন্য এজেন্ট নিয়োগ করতে হবে।
৭. প্রবাসে কর্মরত অবস্থায় কেউ মৃত্যু বরণ করলে তার লাশ বিনা খরচে দেশে আনার ব্যবস্থা করতে হবে এবং পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকার পরিবর্তে ৬ লক্ষ টাকা প্রদান করতে হবে।
৮. সর্বস্তরে প্রবাসীদের সম্পদ ও সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
৯. প্রবাসীদের ভোটার আইডি কার্ড প্রদানে সকল প্রকার ভোগান্তি দূর করা।

এবি পার্টির নেতারা বলেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। তারা বিদেশে কঠোর পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখেন। তাই তাদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ খান, গাজী নাসির, যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, গাজীপুর মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিন্সিপাল হুমায়ুন কবিরসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এম জি

শেয়ার