Top
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে বিদ্যালয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে না দেওয়ায় শিক্ষক লাঞ্ছিত

০৪ জুলাই, ২০২১ ৫:১৭ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামে বিদ্যালয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে না দেওয়ায় শিক্ষক লাঞ্ছিত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চলমান কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যে স্কুলে বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি না পাওয়ায় ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদে এক প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে মিয়া হারুন খান নামে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। স্কুলে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি এসময় প্রধান শিক্ষককে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন তিনি।
বুধবার (৩০ জুন) এ ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর শনিবার (৩ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি মামলা করেন মনসুরাবাদ এলাকার খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন। মামলার পরপরই পুলিশ এই যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, মো. নিজাম উদ্দিন ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ এলাকার খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। একই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. একরাম মিয়া স্কুলে তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি চান। কিন্তু করোনার জন্য বন্ধ স্কুলে বিয়ের অনুমতি দেননি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লে. কর্ণেল (অব) ইকবাল শফি। তবুও অনুমতি ছাড়াই শুক্রবার (২৫ জুন) স্কুলে বিয়ের আয়োজন করেন একরাম মিয়া। বিয়ে আয়োজনের এ খবর পেয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সে বিয়ে বন্ধ করে দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এরপর স্কুলে ‘মেয়ের বিয়ে হতে না দেওয়ায়’ শিক্ষকদের স্কুলে আসতে মানা করে দেন আসামিরা! এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ করলে বুধবার (৩০ জুন) পাঁচলাইশ/ডবলমুরিং থানা শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল আসে স্কুলে। এসময় প্রধান শিক্ষকসহ আরও কয়েকজন শিক্ষকও আসেন। তাদের আসতে দেখেই জোরপূর্বক স্কুলে ঢুকেন একরাম মিয়ার ভাই চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি মিয়া মো. হারুন খান, আরেক ভাই জানে আলম,মো. মাসুদ, মো. প্রিন্স এবং মো. আল নাহিয়ান। তারা প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকেই অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এক পর্যায়ে টেবিলে থাপ্পর মেরে ‘তাকে নেওয়ার’ হুমকি দেয়। এসময় তাকে স্কুলের সভাপতি কর্ণেল ‘বাঁচাতে পারবে না’ উল্লেখ করে হত্যারও হুমকি দেন।

এ ঘটনায় শনিবার (৩ জুলাই) রাতে প্রধান আসামি যুবদল নেতা মিয়া মো. হারুন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি বলে জানান ওসি।

শেয়ার