Top
সর্বশেষ

পশুর বর্জ্য নিদ্ধারিত সময়ের ১২ ঘণ্টার আগেই অপসারণ

২৩ জুলাই, ২০২১ ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
পশুর বর্জ্য নিদ্ধারিত সময়ের ১২ ঘণ্টার আগেই অপসারণ
রংপুর প্রতিনিধি :

রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার ৩৩ টি ওয়ার্ডে করোবানী পশুর বর্জ্য নিদ্ধারিত সময়ের ১২ ঘণ্টার আগেই অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। দুপুর থেকে রাত বারোটার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করে তা নির্ধারিত স্থানে ডাম্পিং করা হয়। এজন্য তিনি পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিতসহ সকলকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের সাথে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে একথা বলেন। মেয়র বুধবার ঘোষণা দেন যে, কোরবানির দিন ১২টার মধ্যে রংপুর সিটি করপোরেশনের সব এলাকা থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এজন্য তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্দেশ দেন।

মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ সবার সহযোগীতায় অল্প সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। ঈদের জন্য বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১ হাজার ৩৭ কর্মীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় এ কাজে আমরা সফল হয়েছি। মেয়র বলেন, সিটির ১ হাজার ৩৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী তিনটি জোনে বিভক্ত হয়ে বর্জ্য অপসারণে কাজ করেছে। এতে ১২০টি ট্রলি ও রিকশা-ভ্যান এবং ২৯টি ডাম্প ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে হুইল লোডার, ব্যাকো লোডার, স্পিড লোডার, স্কাভেটর ও পানিবাহী গাড়ি ছিল। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম মনিটরিং করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি ছাড়াও কাউন্সিলরগণসহ একটি মনিটরিং টিম কাজ করেছে। রংপুর সিটি করপোরেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ঈদের দিন কোরবানির পশুর ২০০ টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ওই দিন দুপুর থেকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়। মেয়র ঘোষিত ১২ ঘণ্টার আগেই ১৭০ টনের বেশি বর্জ্য অপসারণ করে তা ডাম্পিং করতে নির্দিষ্ট স্থানে নেওয়া হয়।

নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সিটি করপোরেশনের পানিবাহি গাড়ি থেকে জীবণানাশক পানি ছিটানোর পাশাপাশি ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে পরিস্কার করছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। বিভিন্ন ডাস্টবিন থেকে ময়লা আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোরবানির পশুর বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। রংপুর নগরীর নিউ শালবন এলাকার গৃহবধু সম্পা হোসেন জানান, এবার মেয়র তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিস্কার করেছেন।

নগরীর ধাপ ইসলামবাগ এলাকার ব্যবসায়ী আনছার আলী জানান, ঈদের দিনে আমরা অনেকেই সড়কের উপর, বাড়ির পাশে কোরবানির পশু জবাই করি। ভেবেছিলাম, বিকেলের পর বর্জ্য অপসারণ না হলে দুর্গন্ধ ছড়াবে। কিন্তু সন্ধ্যার আগেই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্জ্য অপসারণ করে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিয়েছেন। ঈদের তৃতীয় দিনেও বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশু জবাই করতে দেখা গেছে।

শেয়ার