বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধুনট ইউনিয়নের ৪ টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন উপলক্ষে এক পক্ষের সম্মেলন অনুষ্ঠানে অপর পক্ষের হামলায় সম্মেলন ভন্ডুল হয়েছে।
এসময় সম্মেলন বিরোধী নেতাকর্মীরা সম্মেলন স্থলের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করেন। বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ধুনট ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআইএম নুরুন্নবী তারিক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকনের পক্ষের দলীয় নেতাকর্মীরা বুধবার সকালের দিকে ধুনট ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে ওই ইউনিয়নের ৬, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করে। কিন্তু খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের অপর পক্ষের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলাম সোবহান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহসীন আলমের পক্ষের দলীয় নেতাকর্মীরা সম্মেলন অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় সম্মেলন বিরোধী ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সেখানে চেয়ার, টেবিলসহ ডেকোটেরের আসবাব ভাংচুর করেন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সম্মেলন আয়োজক পক্ষের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
অপর দিকে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ তারেক হেলালের পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী
লীগের সাবেক সদস্য মোজাফফর রহমানকে মারপিট করেছে বলে অভিযোগম উঠেছে। এ অভিযোগ অস্বীকার করে এম এ তারেক হেলাল বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে
মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন।’ সম্মেলন অনুষ্ঠানে হামলার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআইএম নুরুন্নবি তারিক জানান, দলের বহিস্কৃত নেতা কর্মীরা সম্মেলন অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। পরে তাদের পক্ষের লোকজন এলাঙ্গীতে এক আওয়ামী
লীগ নেতাকে মারধর করেছে। আপাতত: সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহসীন আলম জানান,দলের নেতাকর্মীদের অবৈধভাবে বহিস্কার করে গোপনে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের চেষ্টা করছিল আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। সংবাদ পেয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।