সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন,‘আওয়ামী লীগ একমাত্র দল, যার সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক আছে। দেশে আরো অনেক দল আছে যারা নিজেদেরকে জনগণের দল হিসেবে দাবি করেণ, কিন্তু জনগণের সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। যাদেরকে জনগণ চেনে না, জানেনা তারা কিসের রাজনীতি করেন আর কেনই বা তারা নিজেদের রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচয় দেয়।

বুধবার সন্ধ্যায় নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ আইনজীবী এ. কে. এমডি জোনাব আলীকে সম্মাননা প্রদান এবং সদ্য অনুমোদন পাওয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের মত বড় দল আর একটিও নেই বাংলাদেশে দাবি করে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর আরো বলেন,‘দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে সবসময় কাজ করে এক মাত্র আওয়ামী লীগ। এজন্য আওয়ামী লীগের সাথে দেশের জনগণের সর্ম্পক রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রধান শক্তি কর্মী-সমর্থক। তারাই দলের প্রাণ। কর্মী-সমর্থকরা কোন লোভ লালসা ছাড়াই আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে। নেতৃত্বের সমস্যা নেতাদের মধ্যে দেখা যায়, কর্মীদের মধ্যে সমস্যা দেখা যায় না।’

নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে অভিনন্দ জানিয়ে আসাদুজ্জামান নূর বলেন,‘বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ এ.কে.এমডি জোনাব আলী নীলফামারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণা। ওনার মতো একজন মানুষকে সম্মাননা দিতে পারা যে কারো জন্য গর্বের। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রথমবারের ন্যায় এধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

অনুষ্ঠানে সংবর্ধণা পাওয়া প্রবীণ ওই রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট এ.কে এমডি জোনাব আলী বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম সহচর ছিলেন। অংশগ্রহন করেছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ (জলঢাকা-কিশোরগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তাঁর বয়স হয়েছে ৮৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতিতে তিনি ১৯৫০ সালে মাধ্যমিকে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগে যোগ দেন। ১৯৫২ সালে কলেজ জীবনে ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় ছিলেন। ১৯৬৭ সালে নীলফামারী মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তীতে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, ১৯৯৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মআহবায়ক, ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

অনুষ্ঠানে সংবর্ধণা পাওয়ার অনুভুতিতে অ্যাডভোকেট এ.কে এমডি জোনাব আলী বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আমি রাজনীতিতে এসেছি।অনেক চড়াই-উত্তরাই পেরিয়ে গেছে রাজনীতিতে। সে আদর্শ থেকে আমার বিচ্যুতি ঘটেনি। আজকে এ অনুষ্টানে যারা উপস্থিত আছেন, তাদেরকে দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। তারা সাবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ।’

সভায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল
আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল মনছু ফকির, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম প্রমুখ।