পঞ্চগড়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আইয়ুব আলী (৬২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৫ মে) রাতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলার তিররনইহাট ইউনিয়নের দগরবাড়ি গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত সালে খা’র ছেলে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া ও তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসাইন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে আইয়ুব আলী নামে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়া উপজেলার তিররনইহাট ইউনিয়নের দগরবাড়ি গ্রামের আইয়ুব আলী গং ও একই ইউনিয়নের ফুটকিবাড়ি গ্রামের জুরান আলী গংদের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ৪ মে বিকেলে দগরবাড়ি চৌরাস্তা এলাকায় জুরান আলীর ছেলে হালিম ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আব্দুর রহমানের ছেলে সুমনের ওপর হামলা চালায়।
এসময় সুমনকে বাঁচাতে আইয়ুব আলী, ফারুক হোসেন, মহসিন আলী, জসিম, ইব্রাহিম, ফরিদা বেগম, সুমন খান, জহিরুল ইসলাম, মাসুদ রানা ফরহাদসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের প্রথমে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর আহতদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হপাসাতাল ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে আইয়ুব আলী মারা যান।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মাসুদ রানা ফরহাদ গত ৬ মে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ২৮ জনের নামে এবং ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মোবারক হোসেন নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।