Top
সর্বশেষ
শতাধিক পণ্য সেবায় শুল্ক–কর বাড়লো পুঁজিবাজারের অনিয়ম অনুসন্ধানে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠনের দাবি আকুর বিল পরিশোধের পর কমেছে রিজার্ভ ‘আর মাত্র কিছুদিন! এরপর জনগণ আপনাদের নিশ্চিহ্ন করে দিবে’ গ্যাসের দাম ১৫২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব: শিল্প-বাণিজ্যে অশনিসংকেত দেখছেন ব্যবসায়ীরা ‘৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের বেশিরভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন’ রাশিয়ার সামরিক বিমানঘাঁটির তেলের ডিপোয় ইউক্রেনের হামলা ২২৭৬ নেতাকর্মীকে গুম-খুনের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি মালয়েশিয়ায় ৬৪ বাংলাদেশি অভিবাসী আটক রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা ক্রম ঠিক করতে আপিল বিভাগে আবেদন, শুনানি ১৬ জানুয়ারি

ঠাকুরগাঁওয়ে বরেন্দ্রর গভীর নলকূপের সেচ নিতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা

২১ মে, ২০২২ ৫:০২ অপরাহ্ণ
ঠাকুরগাঁওয়ে বরেন্দ্রর গভীর নলকূপের সেচ নিতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :

দেশের উত্তরের কৃষিতে সমৃদ্ধ জেলা ঠাকুরগাঁও। এ জেলার কৃষিপণ্য উৎপাদন আশে পাশের জেলাগুলির তুলনায় বেশি। এখানকার কৃষিপণ্য বা ফসল উৎপাদনে সেচের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। সেচ সুবিধার আওতায় রয়েছে বরেন্দ্র বহুমূখী সেচ প্রকল্প। তবে বর্তমানে বরেন্দ্র’র গভীর নলকূপের সেচ নিতে বাড়তি টাকা আদায় করায় কৃষকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা।

এ জেলার কৃষিতে বড় একটা অবদান রেখে চলেছে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকুপ সমূহ। এবার সে সব নলকূপের সেচ নিয়ে নলকূপ অপারেটরদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে কৃষকদের কাছ থেকে।

বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জেলার গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ নেওয়ার জন্য কার্ডের টাকা ছাড়াও বাড়তি ভাড়ার টাকা দিতে হয় কৃষকদের। আর এই গভীর নলকূপের ভাড়ার টাকা প্রদান করতে হয় অপারেটর আক্তারুজ্জামান আক্তারকে এমন অভিযোগ করেন কৃষকেরা।

সদর উপজেলার ভূল্লী বড় বালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ১০৮ নং গভীর নলকূপের আওতায় থাকা প্রায় ৫০ জন কৃষক সেচ নিতে গিয়ে পড়েছে এমন ভোগান্তিতে । তারই প্রতিবাদ জানিয়ে কৃষকেরা অপারেটরের নামে লিখিত অভিযোগ করেন বরেন্দ্র নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বড় বালিয়া ইউনিয়নে ১০৮ নং গভীর নলকূপের দায়িত্বে থাকা অপারেটর আক্তারুজ্জামান বিগত ১০ বছর থেকে ওই এলাকার কৃষকের কাছে ডিপটিউবলের ভাড়া নিয়ে আসছে। প্রতি সেচ মৌসুমে একর প্রতি ২হাজার ৪শ টাকা ভাড়া দিতে হয় কৃষককে। ওই গভীর নলকূপের আওতায় প্রায় ৬০ একর জমি রয়েছে। বোরো বা আমন মৌসুমে কৃষক একর প্রতি ২হাজার ৪শ টাকা দিতে না পারলে তাকে সেচের পানি দেওয়া হয় না। এ বছর ওই এলাকার ৫০ জন কৃষক একত্রিত হয়ে এ বিষয়ে বরেন্দ্র’র নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে অভিযোগ করলে অপারেটর গভীর নলকূপে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে সেচ বন্ধ করে দেয়। কৃষকদের আর সেচ দিবেনা বলে হুমকি প্রদান করেন তিনি।

এলাকার শাহজাহান আলী , বিপ্লব, নজরুল ইসলামসহ অভিযোগকারী কৃষকরা জানান, আমরা কার্ডের মাধ্যমে টাকা দিয়ে গভীর নলকূপ থেকে পানি নেই। কার্ডে টাকা দিতে হয় আবার ভাড়াও দিতে হয়। কিন্তু আক্তারুজ্জামান নিজেকে গভীর নলকূপের মালিক দাবি করেন । বিঘা প্রতি ১২০০ টাকা না দিলে জমিতে তিনি সেচ দিবেন না ও নলকূপের ঘরে তালা মেরে রেখেছেন। বিগত সময়ে বাধ্য হয়ে আমরা টাকা দিয়েছি। আসলে তিনি কেন এই টাকা নেন বা নিয়ম আছে কি না সেটা আমরা জানতে চাই। গত ১ মাস যাবৎ আমরা পানি নিতে পারিনি। কেন পানি দিবে না এমনটা জানতে চাইলে তিনি বলেন এই ডিপটিউবলের মালিক আমি। এখন সেচের অভাবে আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে গভীর নলকূপের অপারেটর আক্তারুজ্জামান বলেন, তারা যে অভিযোগটা করেছে তা মোটেও সত্য না। ডিপটিউবওয়েল স্থাপন করতে গিয়ে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে আমি কয়েক ধাপে অনেক টাকা দিয়েছি। সেই টাকা তোলার জন্য এবং আমি আমার খরচের জন্য আংশিক কিছু টাকা নেই কৃষকদের কাছ থেকে।

কৃষকের কাছে বিঘা প্রতি ৮০০ বা ১০০০ টাকা চাই। কোন ধরনের জোরপূর্বক টাকা নেওয়া হয়না। তারা যা দেয় তা নেওয়া হয়। অনেকেই আবার টাকা দেয় না।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প ( বিএমডিএ) এর ঠাকুরগাঁও রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ১০৮ নাম্বার গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে আমরা একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। অভিযোগ সাপেক্ষে আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। এরপরেও যদি ঐ অপারেটর অনিয়ম করতে থাকে তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

শেয়ার