Top
সর্বশেষ

চালের দাম বাড়ার সুযোগ আর থাকবে না: চট্টগ্রামে খাদ্য উপদেষ্টা

২১ জানুয়ারি, ২০২৫ ৭:১৯ অপরাহ্ণ
চালের দাম বাড়ার সুযোগ আর থাকবে না: চট্টগ্রামে খাদ্য উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

বিদেশ থেকে কয়েক দফায় আমদানি করায় চালের দাম আর বাড়বে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

তিনি বলেন, আমরা চাল আরও আনতে থাকবো। তবেই দাম বাড়ার সুযোগ আর থাকবে না।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) পতেঙ্গায় নির্মাণাধীন সাইলো পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম বন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, রমজান মাসে আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় বিশেষ করে চাল ও গম সবচেয়ে বেশি দেখাশোনা করে। বাকি কিছু আইটেম দেখভাল করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিসিবি। এবার এ উপলক্ষে সংস্থাটিও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এ মাস থেকে উপজেলায় প্রতিদিন দুই মেট্রিক টন চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। রমজান মাসেও অব্যাহত থাকবে সেটা।

রমজানে ১৫ টাকায় চাল বিক্রি করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাদেশে ৫০ লাখ লোকের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হয়েছে। দরিদ্র শ্রেণির ৫০ লাখ লোক মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে ১৫ টাকা দামে। আশা করছি রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনশীল থাকবে।’

দুর্যোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা হিসেবে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দুর্যোগকবলিত দেশ। যে কোনোভাবে দুর্যোগ এসে দেশের ফসলের ক্ষতি হয়। তবে দুর্যোগ মোকাবিলায় অনেকগুলো গবেষণাগার খুব কম সময়ে অধিক ফসলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইদানিং। গবেষণার ফসলের বীজ কৃষকদের সরবরাহ করা হচ্ছে, যাতে কম সময়ের মধ্যে ফসল ফলানো যায়।

খাদ্য আমদানিতে আরও উৎসের সন্ধান করছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য ও রাজনীতিকে আমরা একসঙ্গে মিলাচ্ছি না। ভারত যেহেতু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী এবং সেদেশ থেকে আমদানি খরচ তুলনামূলক কম ও সস্তা, সেজন্য সেখান থেকে পণ্য আসাটা অব্যাহত আছে। পাশাপাশি মিয়ানমারও চাল বিক্রি করতে চাচ্ছে। আমরা এক লাখ টনের চুক্তি করেছি। তারা আরও বিক্রি করতে চাচ্ছে। পাকিস্তান থেকেও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছি।

সম্ভাব্য চাল আমদানির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান থেকে প্রায়ই আট লাখ মেট্রিক টন চাল আসবে। ভিয়েতনামের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

কৃষক সরকারের কাছে চাল বিক্রি করতে চায় না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সরকারি খাতে আমরা যখন দাম নির্ধারণ করি তখন উৎপাদন খরচ ও কৃষকের লাভ দুটিই ধরি। কিন্তু আমরা বাড়তি দামে কৃষকের কাছ থেকে কিনলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে। তাই বাজার ও কৃষকের স্বার্থ আমাদের দুটোই রক্ষা করতে হয়।

এসময় সাইলো প্রকল্প পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল খালেক, চলাচল, সংরক্ষণ ও সাইলো বিভাগের পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম কায়সার আলীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এম জি

শেয়ার