Top

কুপ্রস্তাব: ছাত্রের মা-বোনকে কুপিয়ে আহত, শিক্ষক আটক

০৬ এপ্রিল, ২০২১ ১:১০ অপরাহ্ণ
কুপ্রস্তাব: ছাত্রের মা-বোনকে কুপিয়ে আহত, শিক্ষক আটক
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রের মা ও বোনকে বটি দিয়ে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় সরকারি কলেজের এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। মারাত্মক আহতাবস্থায় ওই ছাত্রের মাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এবং বোনকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (৫ এপ্রিল) বেলা ৩ টার দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহার ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক সানোয়ার হোসেন (৩৫) ভেড়ামারা পৌর শহরের নওদাপাড়া এলাকায় দশম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রের বাসায় গিয়ে নিয়মিত প্রাইভেট পড়াতেন। এক পর্যায়ে তিনি ওই ছাত্রের মাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। গত সোমবার বেলা ৩ টার দিকে আবার ওই বাড়িতে যান শিক্ষক সানোয়ার। এ সময় সানোয়ারের সাথে ওই গৃহবধূর কথা-কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রভাষক সানোয়ার হোসেন রান্না ঘর থেকে বটি নিয়ে ছাত্রের মাকে মাথায় ও পেটে আঘাত করেন। এ সময় মাকে বাঁচাতে অনার্স পড়ুয়া মেয়ে এগিয়ে আসলে তাকেও আঘাত করে রক্তাক্ত ও জখম করে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন সানোয়ার।

চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে প্রভাষক সানোয়ারকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ভেড়ামারা থানার এস আই প্রকাশ রায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রভাষক সানোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। দুই সন্তানের জনক প্রভাষক সানোয়ার হোসেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা বহলবাড়িয়া গ্রামের মোঃ ইদবার আলীর পুত্র। তিনি ভেড়ামারার নওদাপাড়ায় সস্ত্রীক ভাড়া থাকতেন।

মুমূর্ষু অবস্থায় গৃহবধুকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই গৃহবধুর শরীরে ৬২ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আহত মেয়েকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই ওই গৃহবধূর ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী বাদী হয়ে শিক্ষক সানোয়ার হোসেনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ্জালাল জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওই শিক্ষককে আজ মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে।

এলাকাবাসী জানান, ওই শিক্ষকের স্ত্রী তার অনৈতিক সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় প্রায়ই তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন সানোয়ার। ইতোপূর্বে এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে একাধিকবার সতর্ক করলেও তিনি এতে কোন কর্ণপাত করেননি। এলাকাবাসী লম্পট ওই কলেজ শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

শেয়ার