Top

পিতার বিরুদ্ধে আশালীন মন্তব্য করায় বড় ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা

০৯ আগস্ট, ২০২১ ৬:৪৮ অপরাহ্ণ
পিতার বিরুদ্ধে আশালীন মন্তব্য করায় বড় ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা
রংপুর প্রতিনিধি :

পারিবারিক সালিশে পিতার বিরুদ্ধে আশালীন মন্তব্য করায় ছেলে পল্লী চিকিৎসক আতিকুল রহমান আশিককে পিটিয়ে হত্যা করে গালায় ফাঁস দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রেখেছে নিহতের বাবা ও ছোট ভাই। পুলিশ এঘটনায় নিহতের পিতা ইউপি সদস্য ফজলুল হক ছোট ভাই আশরাফুল, আশরাফুলেল স্ত্রী, নিহতের দুই ফুপু আদুরী বেগম ও রাজিয়া বেগমকে আটক করেছে।

আটককৃতদের শনিবার রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম হাফিজুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে তারা হত্যাকান্ডের কথা জানিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এছাড়া রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কিসামত বসন্তপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আশিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, আতিকুল রহমান আশিক একজন পল্লী চিকিৎসক। ৫ আগস্ট সন্ধ্যার পর পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সালিশ বৈঠকে বসেন আশিকের বাবা, ছোট ভাই, ফুপুরাসহ পরিবারের অন্যান্ন সদস্যরা। বৈঠক চলাকালে আশিক তার বাবা ও স্ত্রীকে জড়িয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে আশিকের বাবা ফজলুল হক ও ছোট ভাই আশরাফুল বড় ছেলে আশিককে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে আশিক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ফজলুল হক, আশরাফুল ও তার স্ত্রী হাসমতআরা বেগম আশিককে তুলে ঘরের ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহ বাঁশের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আশিক আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচারণা চালান।

ওসি আরও জানান, ১৬-১৭ বছর আগে রংপুর সদর উপজেলার বৈকণ্ঠপুর এলাকার আব্দুল মতিনের মেয়ে মমতাজ বেগম ফেন্সির সঙ্গে আশিকের বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। আশিক নিজ এলাকায় পল্লী চিকিৎসক ছিলেন। বেশ কিছুদিন থেকে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন এবং স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার সালিশ এবং বৈঠকও হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ পরদিন শুক্রবার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আশিকের শ্বশুর আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ওইদিনই অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

ওসি জানান, এঘটনায় আটককৃতদের শনিবার রাতে আদালতে হাজির করলে তারা সেচ্ছায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শেয়ার