Top

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই কুষ্টিয়ায় চলছে ইজতেমা

১৯ নভেম্বর, ২০২১ ২:২৫ অপরাহ্ণ
প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই কুষ্টিয়ায় চলছে ইজতেমা
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই কুষ্টিয়ায় শুরু হয়েছে তিনদিনের জেলা ইজতেমা। কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মশান এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে এই ইজতেমা। শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী এই জেলা ইজতেমা। আয়োজকরা জানান ইতোমধ্যে এই ইজতেমায় অংশগ্রহণ করার জন্য দেশ-বিদেশের প্রায় ২০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী সমবেত হয়েছেন। বিশেষ করে সৌদি আরব এবং ইংল্যান্ড থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসল্লী এবং আলেম এসেছেন এই ইজতেমায় অংশ নিতে।তাদেরকে তরজমা করে বয়ান শোনানো হচ্ছে।

ইজতেমায় ইসলামী জীবন বিধান ও ধর্মের আলোকে বয়ান করছেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বি ও দেশবরেণ্য আলেমগণ।

জানা গেছে, ২৫ একরের বিশাল এলাকা জুড়ে চলছে এই ইজতেমা। ইজতেমা প্রাঙ্গনে স্থাপন করা হয়েছে একশ’র উপরে শৌচাগার, দুইশ প্রস্রাবখানা, গোসলখানা, অজুখানা। এছাড়া বাঁশ কাবারি দিয়ে ছামিয়ানা টানানোর জন্য মুল মাঠের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ বিভাগের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

এর আগে তাঁরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অনুমোদনের চিঠি দেন। তবে কোনো অনুমোদন না মেলায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যান। একপর্যায়ে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) আবদুল কাদেরও ইজতেমা মাঠে আসেন। আয়োজকদের ইজতেমা বন্ধ করে নিজ নিজ এলাকায় চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তারপরও মুসল্লিরা সেখানে বয়ান করতে থাকেন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ ও মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রশাসন। পরে অবশ্য বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার মুসল্লীরা। বিশেষ করে পানির স্বল্প এবং রাতের বেলায় নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়।

ইজতেমা সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলাতে বিগত দিনে ২০১৪ ও ২০১৬ সালে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এর খোলা মাঠে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর ২০১৮ সালে শহরের অদুরে কুমারখালী ছেউড়িয়া মন্ডলপাড়া সংলগ্ন গড়াই নদীর তীরে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবারই প্রথম জেলা শহরের একটু বাইরে মিরপুর উপজেলার মশান এলাকায় ইজতেমা শুরু হচ্ছে। এ স্থানটি কুষ্টিয়া জেলা ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আয়োজক কমিটির একজন শাহীন আলী জানান, ঢাকায় চাপ কমানোর জন্য জেলায় জেলায় ইজতেমা হচ্ছে। আজও ৫ জেলায় এক যোগে শুরু হয়েছে। আগে ৩০ জেলায় হয়েছে। এখানে খারাপ কিছু হচ্ছে না। এটা বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। ইজতেমায় কুষ্টিয়াসহ কয়েক জেলার মুসল্লিরা যোগ দিয়েছেন। অনেক বিদেশি মুসল্লিও অংশ নিচ্ছেন এই ইস্তেমায়।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল কাদের বলেন, করোনাকালে কোথাও গণজমায়েতের অনুমতি নেই। জেলা প্রশাসন তাঁদের কোনো অনুমতি দেয়নি। তাই আয়োজকদের ইজতেমা বাতিল করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ইজতেমা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শেয়ার