Top

নেত্রকোণায় জাল সনদ ও ভূয়া এনআইডি ব্যবহার করে শিক্ষকতার অভিযোগ

২১ নভেম্বর, ২০২১ ১:১০ অপরাহ্ণ
নেত্রকোণায় জাল সনদ ও ভূয়া এনআইডি ব্যবহার করে শিক্ষকতার অভিযোগ
নেত্রকোণা প্রতিনিধি :

নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার সাতগাঁও এমবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জমিলা খাতুনের বিরুদ্ধে জাল সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ভূয়া তথ্য ব্যবহার করে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে।

শুধু তাই নয়, তিনি মৌলভী পদে অস্হায়ী নিয়োগ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে স্হায়ীভাবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। পরে এই শিক্ষিকা ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করেন এবং তার বোন জমিলা খাতুনের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে শুধুমাত্র নাম ও স্বামীর নাম প্রদান করে চাকুরীতে যোগদান করেন।

চাকরিতে যোগদানের পর তিনি তিনবার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। প্রথম আবেদন নামুঞ্জুর হলেও পরে তার নাম পরিবর্তন করে সার্টিফিকেটের নাম অনুযায়ী মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নাম ধারণ করেন এবং তৃতীয়বার তিনি জন্ম তারিখ ০৯/০৫/১৯৬২ এর স্হানে ০১/০৫/১৯৬২ পরিবর্তন করেন।

প্রত্যকটা অনিয়ম তিনি করেছেন মূলত তার বোন মোসাম্মাৎ জমিলা খাতুনের সার্টিফিকেটের নামের সাথে তার ব্যক্তিগত তথ্যের যাতে গড়মিল না থাকে।

এক পর্যায়ে তিনি মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নাম ধারণ করেন এবং একই নামে ১৯৮৭ সালে থেকে আজ পর্যন্ত তিনি চাকরি করে আসছেন।

এ ব্যাপারে গত বুধবার (৩ নভেম্বর) নেত্রকোণা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন মোহাম্মদ শফিউল নামে এক ব্যক্তি। অনুলিপির কপি দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারী দপ্তরেও।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জমিলা খাতুন বিদ্যালয়ে নিয়োগ নেওয়ার সময় ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সনদ জমা দেন তাতে দেখা যায়, ১ বছর বয়সে জমিলা খাতুন ১ম শ্রেণী, দশ বছর বয়সে দশম শ্রেণী(দাখিল) ও ১২ বছর বয়সে দ্বাদশ (আলিম) পাস করেন। এমনকি তৎকালীন নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে সুকৌশলে তিনি পিতা মাতার নাম ব্যবহার করেন নাই। এটা অনিয়ম কোনভাবেই এটা মেনে নেয়া যায় না।অভিযোগকারী মোহাম্মদ শফিউল বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান।

অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত জমিলা খাতুন বলেন, আমার সার্টিফিকেট যদি জাল হয় আপনারা শিক্ষাবোর্ডে গিয়ে খোঁজ নেন, বোর্ড আমার সার্টিফিকেট দিয়েছে। পরে আবার দুইটা মিনিষ্ট্রি অডিট হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুদর্শণ সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগের কাগজ আমরা পাইনি। এ রকম কোন বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।

জেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গফুরের কাছে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এরকম একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

শেয়ার