ফেনীতে বিয়ের দেড় মাসের মাথায় সানজিদা আক্তার (২১) নামে এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার আত্নহত্যার পরোচনার অভিযোগে মেয়ের পরিবারের দায়ের করা মামলায় দুবাই প্রবাসী স্বামী আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আবুল বাশার ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের আকরামপুর এলাকার ওলি আহমেদের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, গত ৭ নভেম্বর দুবাই প্রবাসী আবুল বাশারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সানজিদার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের দাবিতে সানজিদার ওপর মানসিকভাবে নির্যাতন চালায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে গত সোমবার রাতে আকরামপুর এলাকার শ্বশুর বাড়ি থেকে সানজিদার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পর দিন মঙ্গলবার বিকেলে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সানজিদার মরদেহ কাশিমপুর এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত সানজিদা আক্তার ফেনী সদর উপজেলার দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার বাসিন্দা ও ফেনী সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
নিহত সানজিদার মা মোহছেনা আক্তার জানান, যৌতুক লোভী স্বামী ও তার পরিবার সানজিদার ওপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালায়। তাদের প্ররোচনার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন আমার মেয়ে। বিয়ের পর দিন থেকেই তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়েছে। মেয়ের স্বামী বিভিন্নভাবে তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। নির্যাতন সইতে না পেরে মেয়ে আমার আত্মহত্যা করেছেন। আমরা আদালতের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। এটা নিশ্চিত হত্যাকাণ্ড।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, এ ঘটনায় সানজিদার মা মোহছেনা আক্তার বাদি হয়ে সানজিদার স্বামী আবুল বাশার, শ্বশুর ওলি আহমেদ, শাশুড়ি সাফিয়া খাতুন, ভাসুর জাফর, তার স্ত্রী রুবি বেগম, ননদ পিংকি বেগমকে আসামি করে থানায় আত্নহত্যার পরোচনার মামলা দায়ের করেছে।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার আবুল বাশারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।