Top

শেরপুরে ২০ বিদেশি জাতের বীজ আলুর পরীক্ষামূলক চাষ

২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ৩:৪০ অপরাহ্ণ
শেরপুরে ২০ বিদেশি জাতের বীজ আলুর পরীক্ষামূলক চাষ
হাফিজুর রহমান লাভলু, শেরপুর :

শেরপুরের নকলা উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বীজ আলু উৎপাদন জোনের আওতায় মাল্টিলোকেশন ট্রায়াল প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ২০টি বিদেশি জাতের বীজ আলুর চাষ করা হয়েছে। উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের বানেশ্বর্দী গ্রামের চাষি শামসুজ্জামান জুয়েল তার ২ একর জমিতে পরীক্ষামূলক এই আলুর জাতগুলো চাষ করেন। জাতগুলো হলো এন টুইনার, বারি ৩৭, সানসাইন, ফন্টেইন, বারি ৩৫, বারি ৪১, আডাটো, বারি ৭৯, শান্তানা, এডিসন, এস্টারিক্স, ডোনাটা, এভারেস্ট, ক্যারোলাস, গ্র্যানোলা, এলুইটি, প্রিমাভেড়া, অ্যালকেন্ডার, মিউজিকা, ডায়মন্ড।

মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৩০টি জোনের প্রদশর্নীর মধ্যে নকলা জোনে একটি। ১ ডিসেম্বরে বীজ আলু মাঠে রোপণ করা হয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর আলু ধরেছে। এসব আলু ৭৫-৮০ দিন বয়সে উত্তোলন করা হবে বলে জানান স্থানীয় চাষিরা।

উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের আলু চাষি শামসুজ্জামান জুয়েল বলেন, ‘বিএডিসি হিমাগার নকলার কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে ২ একর জমিতে পরীক্ষামূলক ২০টি জাতের উচ্চ ফলনশীল বীজ আলু চাষ করেছি। উৎপাদনও অনেক ভালো। বিএডিসি হিমাগামের কর্মকর্তারাও নিয়িমিত মাঠ পরিদর্শন করে সঠিক পরামর্শ প্রদান করছেন। আশা করি ভালো ফলন পাব এবং চাষি পর্যায়ে উচ্চ ফলনশীল আলু চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হবে।

বিএডিসি হিমাগার নকলা জোনের উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, এই জাতগুলো সবই উচ্চ ফলনশীল। নিয়মিত চাষিকে পরামর্শ দেওয়া এবং মাঠ পরিদর্শন করা হচ্ছে । আশা করছি ফলন খুবই ভালো হবে এবং চাষি পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। এই জাতগুলোর মধ্যে যেগুলো উৎপাদনে ভালো হবে সেগুলো বিএডিসির আলু বীজ হিমাগারের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে এবং বিদেশে রপ্তানিযোগ্য আলু চাষ করে চাষি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।

বিএডিসি হিমাগারের উপপরিচালক কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া আলু চাষের জন্য অনেকটা উপযোগী। বিএডিসি হিমাগার নকলার বাস্তবায়নে ২০২১-২০২২ উৎপাদন মৌসুমে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাল্টি লোকেশন পারফরমেন্স যাচাইয়ের জন্য ২০টি জাতের উচ্চ ফলনশীল শিল্পে ব্যবহার ও বিদেশে রপ্তানিযোগ্য আলু চাষ করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং কৃষককে নিয়মিত পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। এসব উৎপাদিত আলুর কোয়ালিটি যাচাই করে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারলে, চাষি আলু চাষে লাভবান হবে।

 

শেয়ার