রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে ট্রাকচাপায় নিহত হিমেলের জানাজা শেষ করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েরর কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে ট্রাকচাপায় নিহত হিমেলের জানাজা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বলেন, ক্ষতিপূরণ নিয়ে হিমেলের মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার জায়গা থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা অনুযায়ী এই ক্ষতিপূরণ আমরা দিতে পারবো। আজকে হিমেলের মায়ের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে। এটা নিয়ে আমরা আজ শিক্ষকদের সঙ্গে বসবো।

পরে তার লাশ নাটোরের কাপুড়িয়াপট্টি মামার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নববিধান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টা দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনের রাস্তায় ট্রাকচাপায় মাহমুদ হাবিব হিমেল নিহত হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। সে তার পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিলেন। তার বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার আগে মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের মামা মো. মুন্না বলেন, হিমেলের অল্প বয়সে দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া কষ্টকর। আমার বোন আগে স্বামীহারা ছিলেন, আর এখন সন্তানহারা হয়ে গেলেন। এই কষ্ট মেনে নেওয়া কঠিন। তবে ভবিষ্যতে যেন এমন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর দিতে হবে। আর কোন মায়ের কোল যেন এভাবে খালি হয়ে না যায়।

এসময় হিমেলকে শেষ বিদায় জানানো তার সহপাঠীরা বলেন, আর কত শিক্ষার্থী মারা গেলে সড়কে নিরাপত্তা আসবে। এটা হাইওয়ে ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ছিল। তারপরও চালকের অনভিজ্ঞতার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। চালকদের ঠিকমতো প্রশিক্ষণ না দিয়ে, টাকার বিনিময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয়। এগুলো বন্ধ না হলে আমাদের বন্ধুর মতো অনেক হিমেলকে হারিয়ে যেতে হবে।