পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী ও বান্দরবানের সরকার দলীয় সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বাংলা নববর্ষ ও বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পার্বত্যালের সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এই পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি স্থাপনের জন্য শান্তি চুক্তি হয়েছিল। আজ তাঁরই হাত ধরে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে তালে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে পুরো পার্বত্য এলাকা।

বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উদযাপন উপলক্ষে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠ প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর বাহাদুর এসব কথা বলেন।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসক যৌথভাবে বাংলা নববর্ষ উৎসব আয়োজন করে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এদিকে নববর্ষ ও সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে বান্দরবান এখন উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী ছাড়াও সব বয়সের নারী-পুরুষ নতুন পোশাক পরে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। বৈশিক করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ ও ২০২১ এ দু বছর নববর্ষ ও সাংগ্রাই উৎসব হয়নি। দু বছর পর সকলে একত্রিত হবার সুযোগ পাওয়ায় সবার মধ্যেই আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা যায়। মানুষ মনের আনন্দে রাস্তায়-শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

অন্যদিকে, বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রী চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

পরে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (জেলা কালেক্টরেট ভবন) চত্বর হতে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজার মাঠে গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বাঙালিদের পাশাপাশি ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির তরুণ-তরুণী, নর-নারীরা নিজস্ব পোশাক ও গ্রামীণ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী প্রদশর্নী করে এতে অংশগ্রহণ করে।

পরে শহরের রাজার মাঠে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এসময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের শিল্পীরা দেশীয় গান, ছড়া, কবিতা আবৃত্তি, নবাব সিরাজ উদদৌলা নাটকের অংশ বিশেষ, জারি-সারি ও নৃত্য প্রদর্শন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে মাতিয়ে তোলে। এসময় রাজার মাঠে শত শত বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি পেশার নর-নারী উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শোভাযাত্রায় মনোরম সাজে অংশ গ্রহণ ছাড়াও চিত্রাংকণ ও কবিতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আজকের এই পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করার সাথে সাথে পাহাড়ের প্রতিটা অঞ্চলের মানুষের জন্য সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধ, ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ রুপান্তরের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করবো।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সিংইয়ং ম্রোসহ সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।