তিনদিন পর উদযাপিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। বাজারে মাঝারি আকারের একটি নারিকেল বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকায়। শুধু নারকেলই নয়, ঈদের আগে আবার চাহিদাকে পুঁজি করে বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে চিনি, কিসমিস, বাদামসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য। সেই সঙ্গে বেড়েছে মুরগি, পোলাও চাল আর মসলার দামও।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দীন বাজার ও কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি চিনির কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এতদিন ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া চিনি আজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৯৩০ থেকে ৯৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাজুবাদাম এখন ১ হাজার ৫০ টাকায় এবং কাঠবাদাম বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকায়। ১০ টাকা বেড়ে ১শ গ্রাম কিসমিস বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।
দীর্ঘ ছয়মাস ধরে এমনিতেই লাগামছাড়া চিনির বাজার। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর চিনির দর নির্ধারণ করে দেয় সরকার। সে হিসেবে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৭৪ ও প্যাকেটজাত চিনি ৭৫ টাকায় বিক্রি হবার কথা। কিন্তু বাজারে এতদিন প্রতিকেজি চিনি ৮০ থেকে ৮২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু ঈদ ঘনিয়ে আসতে না আসতেই চিনির দর এখন ঠেকেছে ৯০ টাকায়।
এদিকে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি পোলাওয়ের চাল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদে চাহিদা বাড়ায় ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তাছাড়া মসলার বাজারেও স্বস্তির খবর নেই। ২৫০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি লবঙ্গ ১২শ, ৪শ টাকা বেড়ে এলাচ ২৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া জায়ফল ৫৪০, দেশি আদা ৭০, চায়না আদা ১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ৩০, আমদানি পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় এবং দেশি রসুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া তিন টাকা বেড়ে বড়দানা মসুর ডাল ৯৮ থেকে ১০৫ টাকা ও খোলা ময়দা ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রিয়াজউদ্দীন বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, ঈদের কারণে পণ্যের দাম বাড়েনি। পণ্যের আনয়ন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
এদিকে সবজির বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৫০ থেকে ৬০, গাজর ৫০, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, শসা ২০ থেকে ৩৫, ঢেঁড়স ২০ থেকে ৩০, বরবটি ৫০ থেকে ৭০, কাকরোল ১২০, কাঁচামরিচ ৪০ ও আলু ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তাছাড়া গত সপ্তাহের মতোই মাংসের বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০ ও খাসি ৯শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।