ভোলা জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী, জলদস্যু ও ডাকাত বাহিনীর প্রধান মহসিন ডাকাত ও তার সহযোগী জাকির ডাকাতকে অস্ত্র ও গুলিসহ বরিশাল জেলার বন্দর থানা এলাকা থেকে করেছে আটক করেছে র‍্যাব-৮।

আটককৃতরা হলেন, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার জয়নগর গ্ৰামের কায়সার আহমেদ গাজীর ছেলে মোঃ মহসিন গাজী (৫০) ওরফে মহসিন ডাকাত ও একই এলাকার সেকেন্দার কাজির ছেলে মোঃ জাকির কাজী জাহাঙ্গীর (৪৯)।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৪ টায় তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব-৮ এর মিডিয়া সেল কর্তৃপক্ষ।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

র‍্যাব জানায়, শনিবার দিবাগত রাত ১ টায় ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ বরিশাল জেলার বন্দর থানার নরকাঠী গ্ৰামের মেহগুনি বাগান এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র‍্যাব-৮ সিপিএসসি কোম্পানীর একটি দল। এ সময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাত দল। পালানোর চেষ্টাকালে র‍্যাব ২ জনকে ডাকাতকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দুই নলা বন্দুক, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি পিস্তল, একটি রামদা, একটি বগিদা, ওয়ান শুটারগানের ৪ রাউন্ড কার্তুজ, পিস্তলের ২ এ্যমোনিশন, নগদ ৩ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করে যে, তারা এবং তাদের সাথে থাকা পলাতক আসামীরা প্রত্যেকে ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে একত্রিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘঠিত করে আসছিলো।

এছাড়াও শীর্ষ সন্ত্রাসী, জলদস্যু ও ডাকাত বাহিনীর প্রধান মোঃ মহসিন ডাকাত তার ৫০/৬০ জন সহযোগীদের নিয়ে ভোলা জেলার বিভিন্ন চর অঞ্চলে বসবাসরত সাধারণ জনগণের জীবন যাপনের ত্রাশ সৃষ্টি করে। চর অঞ্চলের বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের নিকট হতে প্রতিনিয়ত চাঁদা উত্তোলন করত।

বরিশাল র‍্যাব-৮ সিপিএসসি এর ডিএডি সাইফুল ইসলাম জানান, মহসিন গাজী ওরফে মহসিন ডাকাতের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, নারী ও শিশু নির্যাতন, চুরি ও মারামারিসহ বিভিন্ন থানায় আরো ১৪ টি মামলা রয়েছে। এছাড়া তার সহযোগী জাকির কাজী জাহাঙ্গীর সহ অনান্য পলাতক অসামীদের বিরুদ্ধেও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা
রয়েছে।

সাইফুল ইসলাম আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে জেলার বন্দর থানায় অস্ত্র আইনে ও ডাকাতি প্রস্তুতির দুইটি পৃথক মামলা দায়ের দায়ের শেষে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।