বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেলে কবিরহাট হাজী ইদ্রিস চত্বরে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দুঃসময়ের কর্মীদের বৃহত্তর ঔক্য করতে হবে। আগামী নির্বাচনে আমাদের ঔক্য থাকলে ইনশাআল্লাহ বিপুল ভোট পেয়ে আওয়ামীলীগ আবারও সরকার গঠন করবে। আওয়ামীলীগে এখন অনেক অতিথি পাখি ভর করেছে। খারাপ সময় এলে শীতের অতিথি পাখিরা চলে যায়। তখন দুঃসময়ের কর্মীরাই থাকবে। তাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করুন।’

কবিরহাট উপজেলার মানুষের সাথে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি কবিরহাটকে ভালোবাসি, কবিরহাট আমাকে ভালোবাসে। সে ভালোবাসার প্রমাণ অতীতের নির্বাচনগুলোতে আমি পেয়েছি। তিন বছর আমি আসতে পারিনি করোনা সংকটের কারণে। কিন্তু ভিডিও কনফারেন্স করে নেতাকর্মীদের সাথে আমি কথা বলেছি। করোনার সময় আমি এখানে অক্সিজেন মাস্ক পাঠিয়েছি, সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছি। বরাদ্দের ছেয়ে বেশি চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়ছি। এই সংকটে আমি আপনাদের সংগে ছিলাম। কবিরহাট আমার হৃদয়ে, আমার অন্তরে, আমার চেতনায়। কবিরহাটকে ভুলে গেলে আমার অস্তিত্বকে ভুলে যাওয়া হয়। কারন এই কবিরহাটের মানুষই আমাকে প্রথম বেশি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, সেকথা আজ কেমন করে ভুলে যাবো। আমার এলাকার মানুষ ভালো আছে। তাতেই আমি আনন্দিত।স্বার্থান্বেষী মহল যুদ্ধের অজুহাতে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনার মত সৎ ও পরিচ্ছন্ন নেতা যতদিন বাংলাদেশে আছে ততদিন বাংলাদেশ পথ হারাবে না, আমরা সবাই মিলে এই বাংলার মাটিতে এগিয়ে যাবো। আগামী নির্বাচনের আগে আমার নির্বাচনী এলাকার বেকার তরুনদের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।’

এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, নিজের অসুস্থতা এবং করোনা মহামারীর কারণে গত ৩৩ মাস নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলা) আসতে পারেননি মন্ত্রী। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৩ আগস্ট ঈদুল আজহা উদযাপন করতে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি।