গাইবান্ধার সাঘাটার কচুয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোজাফফর আকন্দকে পুত্রবধুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ( ৩১ মে) সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বামনহাজরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এঘটনায় জড়িত সন্দেহে সহিদুল ইসলাম ও ওয়াহেদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মোজ্জাফরের ছেলে জাফর ইকবাল বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনিতে কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৩ আগষ্ট তিনি সাঘাটা উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের গোরের পাড়া গ্রামের ছাইদুল ইসলামের মেয়ে লিমা আক্তারকে বিয়ে করেন । এর পরে পারিবারিক সমস্যার কারনে লিমা আক্তার বাদী হয়ে ৬ জানুয়ারি ২০২০ গাইবান্ধা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ২২৮/২০)।
মামলার পরে আদালত পুলিশের চাকরী থেকে জাফর ইকবালকে অব্যহতি দেয়া হয়। পরে গত ৮ আগষ্ট ২০২০ সালে আদালতে দেনমহরের টাকা পরিশোধ করে লিমাকে তালক দেন জাফর ইকবাল। তালাকের পর জাফর ইকবাল নিজেকে পুলিশের চাকুরীজীবি বলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের আব্দুল ওয়াহেদের
মেয়ে শাপলা আক্তারকে ৯ লক্ষ টাকা দেন মোহর করে ২য় বিবাহ করে।
বিবাহের কিছু দিন পরে চাকুরী থেকে অব্যহতির বিষয়টি জানাজানি হলে ২য় স্ত্রী শাপলার পরিবারে ক্ষোভ বেড়ে যায়। পরে দেন মোহরের টাকার জন্য ছেলের পরিবারকে চাপ দেয়। পরে একাধিক বার মিমাংসার চেষ্টা হলে মেয়ের পরিবার ছেলের বাবাকে একা আসতে বলে।
মঙ্গলবাল (৩১ মে) বিকালে ছেলের বাবা মেজাফফর মেম্বার ছেলের বৌ শাপলার বাবার বাড়ীতে যায়। এরপর শাপলার পরিবারের লোকজন ১ম স্ত্রী লিমার পরিবারের লোকজনকে ডাকেন এবং ছেলের দুই স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন ছেলের বাবাকে পরিকল্পিত ভাবে মারপিট করে। এতে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে পটল ক্ষেতে রেখে যায় । পরে স্থানীয়রা তাকে গুরত্বর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা হাসপাতালের ভর্তি করালে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করেন।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মতিউর রহমান হত্যার ঘটনাটি সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনাটি তদন্ত চলছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করা হয়েছে । নিহতের লাশ গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।