আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর কান্ট্রি ডিরেক্টির টুমো পটিআইনেন এফবিসিসিআই (দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি)-এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সাথে এফবিসিসিআই আইকনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

রাজধানী মতিঝিলে অবস্থিত  গত শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি খাতের ভূমিকা এবং বেসরকারি খাত ও ইউএন সিস্টেমের মধ্যকার স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ বিষয়ে আলোচনা গুরুত্ব পায়।

আলোচনা সভায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন (স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ) পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের জন্য ইউএন সিস্টেমের কারিগরি সহায়তা, ইনোভেশন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অর্জন, অর্থনৈতিক বৈচিত্রতা এবং সামগ্রিক ডিজিটাল অর্থনীতির বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি সবুজ ও টেকসই অর্থনীতি পুনর্গঠনে বেসরকারি খাতের অবদানের বিষয়টিও উঠে আসে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

টুমো পটিআইনেন বলেন, “ইউএন সিস্টেম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিমালার সাথে সঙ্গতি রেখে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া ইউএন সিস্টেম বেসরকারি খাতের সাথে স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ তৈরির সম্ভাব্য খাতের সন্ধান করছে।” আইএলও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে এমন পাঁচটি খাত উল্লেখ করেন তিনি। খাতগুলো হলো- অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, গভারনেন্স এবং জেন্ডার প্রোটেকশন। ইউএন সিস্টেম এসডিজি অর্জন ও জাতীয় উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি খাতের সমন্বিত ও স্থায়ী সম্পৃক্ততাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

এমএসএমই থেকে শুরু করে বৃহত্তম শিল্পে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমকে বিবেচনায় নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, “শিল্প ও অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ, রপ্তানি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা, পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যকরণ, স্টান্ডার্ডাইজেশন ও সার্টিফিকেশন , রপ্তানি কৌশল উন্নয়ন, নারী ও যুব উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধাদি বৃদ্ধি, সমন্বয় সাধন, উদ্ভাবনে সমর্থন এবং স্টার্ট-আপ ও তদসংশ্লিষ্ট ইকোসিস্টেম, স্থায়ী ও সামগ্রিক উন্নয়ন প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য এফবিসিসিআই ইতোমধ্যে ইউএন সিস্টেমকে অনুরোধ করেছে।” এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে সঠিক ভাবে নিরুপনের জন্য বিশেষ কৌশল গঠনে ইএন সিস্টেমের সহযোগিতা ও কারিগরি সহায়তার উপর জোর দেন তিনি।

বাণিজ্য দক্ষতা, আর্টিফিসিয়্যাল ইন্টেলিজেন্স, আইওটি, বিগ ডাটা, সাইবার সিকিউরিটি প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রায়োগিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ১৪০ ঘন্টার মডিউলার প্রোগ্রামের জন্য এফবিসিসিআই এর ৩৬০ ডিগ্রী অ্যাপ্রোচ সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি এফবিসিসিআই ইমপ্যাক্ট ৪.০ উদ্যোগটিও তুলে ধরেন, যার মধ্যে আছে এফবিসিসিআই এডিআর সেন্টার, টেক সেন্টার, স্কিল ল্যাব, এফবিসিসিআই ইনস্টিটিউট, এফবিসিসিআই ইউনিভার্সিটি এবং ইকোনমিক অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড রিসার্চ সেন্টার। বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় নলেজ পার্টনারদের সম্পৃক্ত করে এফবিসিসিআই ইমপ্যাক্ট ৪.০ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।