ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মরা গরু জবাই করে মাংস বিক্রির সময় ২ জনকে আটক করে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার(৫জুন) রাত সাড়ে ১১টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও বালিয়াডাঙ্গী ইউএনও মো. যোবায়ের হোসেন এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের শাহাপাড়া গ্রামের সলিম উদ্দীনের ছেলে রমজান আলী (৪৫) ও বিশ্রামপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে পয়জার আলী (৩৮)। সহযোগী স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল গফুর জানান, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মটরাহাট থেকে একটি মরা গরু জবাই করার পর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের কাঁচকালী বাজারে ইজিবাইকে নিয়ে এসে গভীর রাতে কেটে মাংস বিক্রির চেষ্টাকালে স্থানীয় একজন বালিয়াডাঙ্গী ইউএনও’কে মুঠোফোনে অবগত করেন। পরে ঘটনাস্থলে ইউএনও এবং পুলিশ এসে ঐ ২ জনকে আটক করলেও মোস্তফা নামে অপর একজন পালিয়ে যায়। মোস্তফা ঐ মরা গরুর মালিক ছিলেন বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. যোবায়ের হোসেন জানান, জবাই করার পর গরুটি ইজিবাইকে নিয়ে এসে মাংস বিক্রির চেষ্টাকালে পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় ২ জনকে আটক করা হয়। পরে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করলে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম বলেন, ৬ জুন সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত ২ জন কসাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও গত ২০ মে মরা ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রির দায়ের নজরুল ইসলাম (৪৮) ওরফে ইদু নামে এক কসাইকে জেলে পাঠানো হয় এবং গত ১০ মে মরা মুরগির মাংস রান্না করে বিক্রির দায়ে হোটেল মালিক সেলিম উদ্দীনকে ৫ হাজার টাকা ও মাংস বিক্রেতা আব্দুলকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
মরা ছাগলের মাংস ও মরা মুরগির মাংস বিক্রির পর এবার মরা গরুর মাংস বিক্রির চেষ্টা বালিয়াডাঙ্গীবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারা এখন হোটেলের যে কোন মাংস খেতে দ্বিধা করছেন।