মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (সা:) কে নিয়ে ভারতে কটুক্তির প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁও  মুসলিম সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে স্থানীয় মুসুল্লিরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।

ভারতের মুখ্যপাত্র নুপুর শর্মা ও মিডিয়া সেল প্রধান নবীন জিন্দান বিশ্ব মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (সা:) কে নিয়ে বাজেমন্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করেন ইসলামী বেশ কয়েকটি দল ও স্থানীয় মুসুল্লিরা ।

শুক্রবার জুম্মা’র নামাজ শেষে পৌর শহরের আর্টগ্যালারি মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ও সত্যপীর ব্রিজ এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থান থেকে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে শত শত মুসল্লিরা খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করেন। পরে তারা শহরের চৌরাস্তা থেকে একযোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শহরের চৌরাস্তা ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধনে অংশ নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্থানীয় মুসুল্লিরা বক্তব্য দেন। এতে মসজিদের ইমাম ওলামাসহ শতশত মুসুল্লি
অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা ভারতে মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (সা:) কে কটুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং
ধিক্কার জানান। নুপুর শর্মা’র বিচারের দাবি জানান ।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা, ছাত্র, যুব, শ্রমিক (গণ অধিকার পরিষদ) জেলা শাখা, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন জেলা শাখা, সম্মিলিত খতমে নবুওত সংরক্ষণ পরিষদ জেলা শাখাসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন অংশ নেন।

বক্তব্য দেন, সম্মিলতি খতমে নবুওত সংরক্ষণ পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি মুফতি ফরিদুল ইসলাম কাশেমী, উপদেষ্টা এবং জেলা কারাগার মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা খলিলুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মুসা আলম, মো. আব্দুল জব্বার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা হাফিজ উদ্দিন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. নুরুল করিম আকরাম প্রমুখ। বক্তারা নুপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, ভারতের মত একটি সভ্য রাষ্ট্রে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে গোটা বিশ্বের মুসলিমকে আঘাত করেছে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আজ শুধু বাংলাদেশ নয় গোটাবিশ্বে তাদের প্রতি ঘৃণার জন্ম নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ভারত সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

অবিলম্বে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সকল পণ্য বয়কট করার আহবান জানান বক্তারা।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোন প্রতিবাদ না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয় ।
মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে আরও কঠোরতম কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন মুসলিম সংগঠনের নেতারা।