পঞ্চগড় জেলার কয়েক হাজার নেতাকর্মী গিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে। রংপুর বিভাগ বাস মালিক সমিতি ধর্মঘট ডাকলেও পিছপা হননি নেতাকর্মীরা। যে যেভাবে পেরেছেন একাধিক গ্রুপে সমবেত হয়ে সমাবেশ স্থলে গিয়ে পৌছেছেন। অনেকে সমাবেশ স্থলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিএনপি দলীয় একটি সূত্র জানায়, পরিবহণ ধর্মঘট ডাকতে পারে এমন আশঙ্কায় অনেক নেতাকর্মী দুদিন আগেই রংপুরে গিয়ে পৌছেছেন। বাস ধর্মঘটের আগেই বোদা-দেবীগঞ্জের নেতাকর্মীরা বাস ভাড়া করে রংপুর গিয়েছেন। আর তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর উপজেলার নেতাকর্মীরা ট্রেনে করে, মাইক্রোবাসে মোটরসাইকেল এবং সিএনজিতে করে রংপুর গেছেন।
জানা গেছে, পঞ্চগড় থেকে সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এবং চিলাহাটি থেকে রাজশাহীগামী তিতুমীর এক্সপ্রেসে করে শত শত নেতাকর্মী রংপুরে গিয়েছেন। অনেকে এখনও রাস্তায় রয়েছেন।
জানা গেছে, জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ ও যুগ্ম আহবায়ক সাবেক মেয়র তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কার, মাইক্রোবাস, বাস, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার বিকেলেই সমাবেশ স্থলে পৌছেছেন। শুক্রবারও নামাজের আগে শত শত নেতাকর্মী সমাবেশ স্থলে পৌছেছেন। এসব নেতাকর্মীরা অনেকে আবাসিক হোটেলেসহ আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে স্থান নিয়েছেন।
শুধু বিএনপি নয়, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিভিন্নভাবে সমাবেশ স্থলে পৌছেছেন অনেকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার নওশাদ জমির পঞ্চগড় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে জুম মিটিং করেন। সেখানে সমাবেশ স্থলে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপর থেকেই নেতাকর্মীরা যে যার মতো করে যাওয়া শুরু করেন।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে পঞ্চগড়-রংপুর সরাসরি রুটে বিআরটিসিসহ দুরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে অন্যান্য রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আন্ত:জেলার ছয়টি রুটে বাস মিনিবাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলছে। পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুর গেটলক বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। রংপুরে বিএনপি সমাবেশ আহবানের কারণে আগামীকাল শনিবার সকাল থেকে দিনাজপুর-পঞ্চগড় রুটেও বাস চলাচল বন্ধের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
পঞ্চগড় জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা কোন ধর্মঘট ডাকিনি। রংপুর বিভাগীয় মালিক সমিতি ধর্মঘট ডেকেছেন। আমাদের এখানে রংপুর থেকে কোন বাস আসেনি এখান থেকেও কোন বাস যায়নি। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল করছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, সরকার যত প্রতিবন্ধকতাই সৃষ্টি করুক না কেন বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে পায়ে হেটে সমাবেশ স্থলে পৌছাবেন। সমাবেশ বানচাল করার শক্তি সরকারের নেই।