কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছেন পাঁচ ইউপি সদস্য। ইউএনও অফিসে এ অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা। তবে,অভিযোগের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবী ওই ইউপি চেয়ারম্যানের।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামানের অযোগ্যতার কারনে লোকাল গর্ভন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি ৩) এর ৩ লক্ষ ২১ হাজার টাকা ফেরত গেছে। এতে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত ওই ইউনিয়নটি। এছাড়াও গেলো বছরের আগষ্টের ১৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদের সভায় চেয়ারম্যান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ৮শত কার্ড গোপন করে ১ হাজার কার্ড পেয়েছে বলে সভায় উপস্থাপন করেন।
এদিকে চলমান ৪টি প্রকল্প কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি, আর) প্রকল্পের কোন প্রকার সভা না করে প্রকল্প তৈরি করে উপজেলা ত্রাণ শাখায় (পিআইও অফিস) জমা দেন। এডিবি প্রকল্পের বিষয়ে পরিষদের কাউকে কিছুই জানায়নি ইউপি চেয়ারম্যান। এছাড়াও হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের বিষয়ে পরিষদে আলোচনা না করে ট্যাক্স আদায় শুরু করেন। এতে করে ইউপি সদস্যরা সমালোচনার মুখে পড়েন। তবে, কয়েকজন ইউপি সদস্য ও কিছু কর্মীদের এই ট্যাক্স আদায়ের দায়িত্ব দেন। কিন্তু ট্যাক্স আদায়ের কতটি বই তৈরি করেছেন তা সদস্যদেরকে জানানো হয়নি।
ভিজিডি কর্মসূচী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ৩৬০ কার্ড ইউপি সদস্যদেরকে নিয়ে মিটিং না করে চেয়ারম্যান নিজেই মনগড়া ভাবে ভাগ করে দেন। এর মধ্যে ২শ’ কার্ড ৯টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা অনুযায়ী, ১’শ কার্ড কর্মীদের মাঝে বন্টন করেন ও বাকী ৬০টি কার্ড মহিলা বিষয়ক অফিসে জমা রাখেন। এছাড়াও সরকারি খেজুর, পাউডার দুধ ও কম্বল বিতরনেও রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম। ইউপি চেয়ারম্যান মনগড়াভাবে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ করেন এই পাঁচ ইউপি সদস্য।
অভিযুক্ত নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসদুজ্জামানের সাথে করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি ইউপি চেয়ারম্যানকে নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।