Top

আ.লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহমেদ আর নেই

২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১:৫৩ অপরাহ্ণ
আ.লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহমেদ আর নেই
রংপুর প্রতিনিধি :

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ আহমেদ আর নেই। রোববার ভোর ৪টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর। তিনি দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সাবেক ছাত্রনেতা, যুবলীগ নেতার মৃত্যুতে রংপুরের সর্বস্তরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহমেদ এর প্রথম জানাজার নামাজ রংপুর কোট চত্বরে সকাল সাড়ে ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় জানাজার নামাজ দুপুর ১২টায় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এবং বাদ জোহর কৈলাশ রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার সবশেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মহানগরীর শালবন মিস্ত্রিপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহমেদ ১৯৬৭ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। পরবর্তীতে ১৯৭০ এর তিনি রংপুর কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। তিনি রংপুর মহুকুমা ছাত্রলীগের নেতা থাকা অবস্থায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পরে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে যুবলীগ গঠন হলে তিনি রংপুর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তীতে বিভিন্ন মামলায় নির্যাতনের স্বীকার হন। ওই সময়ে তিনি যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সেই সাথে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে এসে দলের দায়িত্ব গ্রহণ করার কিছুদিন পর ১৯৮৪ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রায় দুই দশক সংগঠককে আগলে রাখেন। ২০১১ সালের পর তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। প্রবীণ এই আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহমেদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিউর রহমান সাফি জানান, রংপুরের রাজনীতির আকাশে আরও একটি নক্ষত্র হারালাম। অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ আহমেদের সময় অনেক নেতা দলবদল করে অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়ে অনেক পদ গ্রহণ করলেও তিনি আমৃত্যু একজন মুজিব সৈনিক হিসাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এ প্রজন্মের রাজনীতি চর্চাকারীদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু জানান, তিনি আমাদের অভিভাবক ছিলেন। তিনি রাজনীতির ক্রান্তিকালে সবসময় পাশে থেকেছেন। তাঁকে হারিয়ে আমরা বাকরুদ্ধ।

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল জানান,আমরা রাজনীতির একজন অভিভাবক হারালাম। তাঁর শুণ্যস্থান পূরণ হওয়ার মতো নয়। প্রবীন এই আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যুতে শোখ জানিয়েছেন রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাবুব রহমান হাবু ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পীসহ প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ।

 

শেয়ার