কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় বটি দিয়ে কুপিয়ে চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলামকে করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকালে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের গরুড়া গ্রামের মিস্ত্রিপাড়ায় এঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান।

নিহত সাইফুল ইসলাম দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের গরুড়া গ্রামের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার সামছুল ইসলামের ছেলে। সে নসিমন চালক ছিলেন। অভিযুক্ত মাহাবুল ইসলাম নিহতের চাচাতো ভাই।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সাইফুল ইসলাম ও মাহাবুল ইসলাম আপন চাচাতো ভাই, পাশাপাশি বাড়ি। দুজনের সমবয়সী (৮ বছর) দুই ছেলে আছে, বৃহস্পতিবার তারা দুজন খেলার সময় ধাক্কাধাক্কি ও মারামারি করে। এই ঘটনার জের ধরে দুই ছেলের অভিভাবকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় মাহাবুল ও তার স্ত্রী কণা বটি দিয়ে কুপিয়ে সাইফুল ইসলামকে হত্যা করে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এবিষয়ে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাকী বলেন, বাচ্চারা খেলার সময় ধাক্কাধাক্কি মারামারি করেছিলো। এ ঘটনার জের ধরে দুই অভিভাবকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাইফুলের মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ৮ বছর বয়সী দুই ছেলে খেলার সময় ধাক্কাধাক্কি ও মারামারি করেছিল। এ ঘটনার জেরে দুই অভিভাবকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় এসময় মাহাবুল ও তার স্ত্রী কণা বটি দিয়ে কুপিয়ে সাইফুল ইসলামকে হত্যা করে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে মারামারি করতে নিষেধ করায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মো. কাজল (৪০) নামের এক ইউপি সদস্যকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতখালী গ্রামের সর্দারপাড়ায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কাজলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন মাবুদ। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহত কাজল মেম্বার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। সে দৌলতখালী গ্রামের মৃত সুন্নত মন্ডলের ছেলে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের পিতা কাজল। অভিযুক্ত মাবুদ (৩৮) একই গ্রামের নুকা সর্দারের ছেলে। সে গাছের চারার ব্যবসা করে।