চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দুই হলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি লাঠি, লোহার রড, স্টাম্প ও হকিস্টিক উদ্ধার করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শাহজালাল হল এবং শাহ আমানত হলে ঘণ্টাব্যাপী চলে এ তল্লাশি। অভিযান চলাকালে প্রক্টরিয়াল বডি ছাড়াও হল প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে আমানত ও শাহজালাল হলে অবস্থানরত শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় তারা চাপাতি, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়। প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অরুপ বড়ুয়া বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা তল্লাশি চালিয়েছি। এ সময় কাউকে আটক করা হয়নি। আমরা কিছু রড ও স্টাম্প পেয়েছি।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৩১ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা হোটেলে খাবার খেতে গিয়ে দুই পক্ষের দুই কর্মীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে সেদিন রাতেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সিএফসির কর্মীরা শাহ আমানত হল ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন চবি পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মিজানুর রহমান। প্রায় দেড় ঘণ্টা সংঘর্ষের পর রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে।

এর জেরেই গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে পুনরায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রক্টর ড. নূরুল আজীম শিকদারও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খায় প্রক্টরিয়াল বডিও। পরবর্তীতে র‍্যাব ও পুলিশের বিপুল সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।