পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদীর মেঘাই তীর সংরক্ষণ বাঁধের প্রায় ১৬০ মিটার এলাকায় ধ্বস নেমেছে। গত বুধবার সকালে প্রবল বর্ষণে ও ঘূর্ণাবর্তে বাঁধের এ অংশ যমুনা গর্ভে চলে যায়। এ কারণে বাঁধ সন্নিকট এলাকায় ব্যাপক আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) রনজিৎ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে গত বুধবার সকালে ওই বাঁধের প্রায় ১৬০ মিটার অংশ ধ্বসে গেছে। সেখানে নোঙ্গর করে রাখা জেলেদের ২৮/৩০টি নৌকায় মাটিচাপা পড়েছে। এ ভয়াবহ ধস ঠেকাতে সকালে থেকেই সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং এ ধস এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে পাউবো’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।

যমুনার ভয়াবহ ভাঙ্গন থেকে কাজিপুর উপজেলাকে রক্ষার জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালে ৫৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘাই এলাকায় এ তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনার অভ্যান্তরে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৬ সেঃ মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৫ সেঃ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, ওই বাঁধ একেবারে ধ্বসে গেলে ভাটি অঞ্চলের অনেক গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাবে এবং কাজিপুর থানা, উপজেলা খাদ্য গুদাম, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়বে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এজন্য সকাল থেকে এ ধ্বস প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়নে জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন,বাঁধের ধ্বস ঠেকাতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং আশা করছি এখন আতংকের কিছু নেই বলে উল্লেখ করেন।