যেকোনো দেশের অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় পুঁজিবাজারকে। পুঁজিবাজারের অগ্রগতির সাথে নির্ভর করে দেশের অর্থনীতি। অর্থনীতির অবস্থা পরিমাপ করার অন্যতম মাধ্যমে হলো পুঁজিবাজার। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার অনেক বড় হলেও অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের তেমন কোন অবদান নেই। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) পুঁজিবাজারের অবস্থান মাত্র ১৩ শতাংশ। যেখানে হংকংয়ে পুঁজিবাজারের অবদানের অনুপাত ১০২৩ শতাংশ।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশের অর্থবাজারে নেতৃত্বের বড় পরিবর্তন হয়। নতুন নেতৃত্বে ভর করে অর্থবাজার অনেকটা ঘুরে দাঁড়ালেও গর্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। দেড় মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের নিয়োগ দিয়ে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে এখনো সচল করা সম্ভব হয়নি। খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগ্যতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) স্বতন্ত্র পরিচালক দিয়োগ দিতে তালগোল পাকিয়ে ফেলছে সংস্থাটি। নিজ ক্ষমতায় এক্সচেঞ্জটিতে স্বতন্ত্র পরিচালক দিয়োগ দিতে এরই মধ্যে চারবার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এমনকি স্টক এক্সচেঞ্জসহ বাজার মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব অবমূল্যায়ন করায় কমিশনের সঙ্গে অন্তর্দ্বন্দ্বের তৈরি হয়েছে বাজার সংশ্লিষ্ট অনেকের মধ্যে।

অন্যদিকে খোদ বিএসইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরণের অজানা আতঙ্ক। কারণ এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কোন ধরণের পরিষ্কার বার্তা পায়নি কর্মকর্তারা।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গত আগস্ট রাজনৈতিকি পটপরিবর্তনের পর অর্থনীতিতে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায় ব্যাংকিং খাত সংস্কার এবং পুঁজিবাজারকে আস্থার জায়গায় ফেরানো। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাত সংস্কারে অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেলেও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার জন্য যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে সরকারের জন্য। প্রথমে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজকে নিয়োগ দেয়া হলেও তিনি দায়িত্ব নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে চেয়ারম্যান করে বিএসইসির অন্যান্য কমিশনারের পদগুলোও পুনরায় নিয়োগ দিয়ে সাজানো হয়। এতে করে পূর্বের কমিশন থেকে পুঁজিবাজার নিয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কমিশনার এ টি এম তারিকুজ্জামান এবং মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরীসহ পূর্ণ পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়। এই পাঁচ সদস্যের মধ্যে কেবলমাত্র এ টি এম তারিকুজ্জামানের সরাসারি পুঁজিবাজারের সঙ্গে দীর্ঘ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা ছিল। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সম্প্রতি এ টি এম তারিকুজ্জামানকেও তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি পুরোপুরি অনভিজ্ঞদের নিয়ে চলছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

যেভাবে বিতর্কে রাশেদ কমিশন

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রায় ১৫ বছরে (২০১১-২০) বিএসইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন এবং অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সময়ে পুঁজিবাজার থেকে লাখো কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে তারল্য সংকট তৈরি হওয়ায় পুঁজিবাজার দীর্ঘ বছর ধরেই টালমাটাল আচারণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার পতনের পর পুঁজিবাজারকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে যোগ্য নেতৃত্বের দাবি জানিয়ে আসছিলো বাজার সংশ্লিষ্ট সর্ব মহল ও বিনিয়োগকরীরা। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ বর্তমান কমিশনের চার সদস্যের কমিশনার টিমে কারোই পুঁজিবাজার নিয়ে তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। তাইতো ডিএসইতে সতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ নিয়ে তালগোল পাকিয়ে বসছে তারা।

গত ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় ডিএসইতে সাত স্বতন্ত্র পরিচালক পদে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করেছিল বিএসইসি। তবে ডিএসইর সাবেক এমডি মাজেদুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মো. হেলালউদ্দিন ডিএসইর পৃথক দুই ব্রোকারেজ হাউসের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালনের তিন বছর অতিক্রম না করায় আইনের লঙ্ঘন হয় বলে প্রশ্ন ওঠে। এতে ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক পদে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় তাদের স্থলে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসী চৌধুরীর অংশীদার এ এফ নেসারউদ্দিন এবং জেড এন কনসালট্যান্টের প্রধান পরামর্শক সৈয়দা জাকেরিন বখ্ত নাসিরকে নিয়োগ দেয় বিএসইসি। কিন্তু নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসী চৌধুরী নিরীক্ষক এবং জেড এন কনসালট্যান্ট ডিএসইর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় আইন অনুযায়ী স্বার্থের সংঘাতের কারণে তারাও দায়িত্ব গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে।

তৃতীয় দফায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসির সাবেক এমডি মোমিনুল ইসলাম এবং বহুজাতিক ওয়েলস ফার্গো ব্যাংকের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার শাহনাজ সুলতানাকে ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় বিএসইসি। এ দফায়ও প্রশ্ন উঠেছে- আইপিডিসির সাবেক এমডির নিয়োগে আইনের লঙ্ঘন হয়েছে বলে। কেননা স্টক ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন ২০১৩-এর ৫ ধারার ‘কে’ উপধারায় বলা আছে- কেউ তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক এবং কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করে থাকলে তিনি স্টক এক্সচেঞ্জের স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারবেন না। কিন্তু মোমিনুল ইসলাম এক বছর আগেও তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে বারবার এমন ভূল সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার অদক্ষতাকে ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

এদিকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই বিএসইসির সঙ্গে ডিএসইর মনোমালিন্য বা বিতর্ক তৈরি হয়। কারণ, ডিএসইর মতামত ছাড়াই এককভাবে বিএসইসির পক্ষ থেকে সংস্থাটিতে সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। অবশ্য কমিশনের পক্ষ থেকে ডিএসইর কাছে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের পূর্বেই নাম চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সুপারিস আমলে নেয়নি বিএসইসি। যদিও স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক করণ বা ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক নির্ধারণের দায়িত্ব সংস্থাটির নমিনেশন অ্যান্ড রেমুনারেশন কমিটির (এনআরসি) হাতে ন্যস্ত। তবে সরকার পতনের পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাজারের উন্নয়নে এক্সচেঞ্জটিতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিতে ডিএসইসহ বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠ পথ বের করা যেত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

আতঙ্কে বিএসইসির কর্মকর্তারা

গত ১৯ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাশেদ মাকসুদ। প্রায় এক মাস পার হতে চললেও এখন পর্যন্ত কর্মকর্তার সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হননি তিনি। উল্টো সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামসহ আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মানিলন্ডারিং শাখা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে কমিশনের কর্মকর্তাদের মাঝে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় অভিযোগ থাকলেও তার বিষয়ে কোন ধরণের পদক্ষেপ নেয়নি দূদক। এই বিষয়ে গভর্নরের কাছে জানতে চাইলে তিনি একাধিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কোন কর্মকর্তা দূনীতির সাথে জড়িত থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনে বিচার হবে। অন্যদিকে বিএসইসির চেয়ারম্যান এই জাতীয় কোন বিষয় কথা বলেনি।

এটিএম তারিকুজ্জামানকে পদত্যাগে বাধ্য করা

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, নতুন কমিশনের একমাত্র অভিজ্ঞ কমিশনার হিসেবে ছিলেন এটিএম তারিকুজ্জামান। গত সরকারের আমলে নিয়োগ পেয়েছেন বলে সমন্বায়ক নামধারী কিছু লোক অর্থ মন্ত্রণালয়ে তার বিষয়ে অভিযোগ দেয়। যেই অভিযোগ তার বিরুদ্ধে তার ক্লিন প্রতিবেদন আছে তার বিষয়ে। সব দিক বিবেচনা করে মন্ত্রণালয় তাকে ৩ মাসের সময় দিয়ে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চেয়ারম্যান ওই নির্দেশনাকে অমান্য করে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে বিএসইসির একজন চৌকশ নির্বাহী পরিচালক হলেন সাইফুর রহমান। কোন ধরণের কারণ দর্শানের নোটিশ না দিয়েই তাকে ওএসডি করা হয়েছে। উপরের নির্দেশে এসব করেছেন বলে দাবী করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান।

সংবাদিকদের প্রবেশে বাধা:

চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের পর থেকেই বিএসইসিতে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করছেন। শুধুমাত্র মুখপাত্রের ফ্লোর পর্যন্তই প্রবেশের নির্দেশনা আছে। অন্যদিকে তিনি কোন সাংবাদিকদের ফোনও রিসিভ করেন না। এতে করে নতুন চাপে পড়েছেন সাংবাদিকরা। যদিও রোববার সাংবাদিকদের প্রবেশের বিষয়ে তিনি জানেন না বলে জানান।

অন্যদিকে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ তিনি স্টেইকহোল্ডারদের সাথে বৈঠকে বসলে কথা বলতে না দিয়ে তিনিই বেশি বলতে পছন্দ করেন। তিনি স্টেইকহোল্ডারদের কোন কথাই শুনেন না। এতে করে তার প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে তাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএমবিএ,ডিবিএ এর একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি বাণিজ্য প্রতিদিনকে বলেছেন, বিএসইসির চেয়ারম্যান কোন স্টেইকহোল্ডারদের পাত্তাই দেন না। মনে পুঁজিবাজারে সকল কিছু তিনি একই জানেন এবং একাই সমাধান করে ফেলবেন। এতে কারো কোন ধরণের সহযোগিতা প্রয়োজন নেই।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন বাণিজ্য প্রতিদিনকে বলেন, ‘ডিমিউচুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী যাদের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট আছে তাদের নিয়োগ দেয়া যাবে না। তো যাদের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের অনেককে নিয়ে কথা উঠেছে এরপর তারা অনেকে নিজে থেকেই পদত্যাগ করেছে আবার অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। এখানে যারা নিয়োগ দিচ্ছে তারা নতুন হওয়ার কারণে এই বিষয়গুলো তৈরি হচ্ছে।’

অধ্যাপক আল আমিন মনে করেন, ‘যারা নিয়োগ দিচ্ছে তারা নতুন হওয়ার কারণে এই বিষয়গুলো তৈরি হচ্ছে।’এক্ষেত্রে ডিএসইর মালিকানায় যারা রয়েছেন, তাদের সাথে বর্তমান কমিশনের অফিশিয়ালি সমন্বয়ের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু স্টক এক্সচেঞ্জের আগের পর্ষদ পুরোপুরি বিলুপ্ত করে দেয়া হয়েছে, সেহেতু নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং স্টক এক্সচেঞ্জ বসে একটা ডায়ালগের আয়োজন করে সমন্বিত একটা বোর্ড গঠন করার সুযোগ ছিল।’

এ বিষয়ে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস এডুকেশনের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা বাণিজ্য প্রতিদিনকে বলেন, ‘স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে যদি আইন ভেঙে থাকে তাহলে এটা ঠিক হয়নি। যারা আইন প্রয়োগ করবেন তারাই যদি আইন ভাঙেন তাহলে তো হয় না।’

ডিএসইর শীর্ষ এক ব্রোকারেজ হাউসের এমডি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাণিজ্য প্রতিদিনকে বলেন, ‘কমিশন এখন পূর্ণ পর্ষদ নেই– এমন অজুহাত দিচ্ছে। অথচ ডিএসইর বোর্ড অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রেগুলেশনস ২০১৩ এর ৩(১)(এফ) ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ক্যাটেগরির পরিচালকদের পদ শূন্য থাকায় পর্ষদের কোনো কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না। স্বতন্ত্র পরিচালক না থাকার পরও পর্ষদে ছয় পরিচালক ছিলেন। তাদের সুপারিশ বা আলোচনা ছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ নিয়ে শুরুতেই প্রধান স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’

বিএইচ