জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দল বেধে সন্তানের সামনে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে করেন হত্যার চেষ্টা। পরে ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী চিৎকার করলে পালিয়ে যায় এক অপরাধী।
শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী এ অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভুক্তভোগী নারী হলেন- বন্দরের মুসাপুর ইউনিয়নের বারপাড়ার মুক্তা বেগম টুম্পা। কান্না জড়িত কন্ঠে টুম্পা বলেন, একই এলাকার মনির, আলী আকবর, নাসির, ওয়াসিম, বাবুল, জহিরুল, মাসুম, আমু ও আল আমিন তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে তারা হত্যা করতে চায়। তিনি চিৎকার করলে তারা পালিয়ে চায়। পরে তারা বলে যায় আইনের আশ্রয় নিলে জনসম্মুখে তারা তাকে ধর্ষণ করবে। এ সময় পাশেই বসেছিলেন টুম্পা বেগমের ৭ বছরের শিশু সন্তান ও তার বড় বোন।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাড়ির জায়গা বুঝে না পাওয়ায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলাম। পরে পুলিশের সহযোগিতায় জমি ফিরে পেয়েছি। সেই থেকেই আমার সাথে পুলিশ সদস্যদের জড়িয়ে মিথ্যাচার শুরু করে। আমি আমার ছেলেকে নিয়ে একটি ফ্ল্যাটে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ মার্চ রাতে অভিযুক্তরা আমার ফ্ল্যাটে ঢুকে সন্তানের সামনেই ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে করেন হত্যার চেষ্টা। চিৎকার করলে ৩০ হাজার টাকা মুল্যের একটি মোবাইল, ২ ভরি ওজনের চেইন ও ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের ব্যাচলেট নিয়ে পালিয়ে যায়।
যাওয়ার সময় বলে যায়, আইনের আশ্রয় নিলে জনসম্মুখে ধর্ষণ করবে। এ সকল সন্ত্রাসীরা যাতে আর কোনো অসহায় নারীদের চরিত্র নিয়ে কথা না বলতে পারে, সন্ত্রাসী হামলা না করতে পারে। সে ব্যাপারে আমি আপনাদের সহযোগিতা ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।