বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই নানা ইতিবাচক কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে দলটি দেশব্যাপী সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমানে দলটিতে জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত লক্ষ-কোটি নেতা-কর্মী-সমর্থক রয়েছে। দলটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত দেশ পরিচালনার দায়িত্বে এসেছিল একাধিকবার। বিগত সরকারের একাধিক পাতানো নির্বাচনের কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা স্বত্বেও দলটি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ১৯৭৯ সালে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মতিনের হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সূচনা করেন দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই থেকে এই এলাকাটি বিএনপি’র ঘাটি হিসেবে পরিচিত।

ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির বিএনপিতে রাজনৈতিক উত্তরসূরী হিসেবে সাবেক চার বারের সংসদ সদস্য মরহুম এম এ মতিনের স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি এমন একটি সময় দলের হাল ধরেন যখন বিএনপি বিগত দেড় যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে। দীর্ঘ সময় দলীয় রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকে নিজের অর্জিত সম্পদ, সময়, বুদ্ধি-বিবেচনা ও নেতৃত্ব দিয়ে নিজ দলীয় নেতা কর্মীদের পাশে থাকার এক অনন্য নজীর স্থাপন করেছেন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক। শুধু তাই নয় বিগত দেড় যুগ ধরে ক্ষমতাসীনদের জুলুম-নির্যাতন, হামলা-মামলা থেকে হাজার হাজার নেতা কর্মীদের রক্ষা করা, অর্থ দিয়ে সহায়তা করা, নির্যাতনের শিকার নেতা কর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, মামলায় জামিন করানোসহ কর্মীবান্ধব এমন কোন কাজ নেই, যা তিনি তার দলীয় নেতা কর্মীদের জন্য করেননি।

স্থানীয় রাজনীতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সকল আন্দোলন-সংগ্রামের আতুঁড়ঘর হাজীগঞ্জ। এখানকার জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতিটি নেতা কর্মী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয়ভাবে ডাকা সকল আন্দোলন সংগ্রাম রাজপথে থেকে সফল করেছে। আর এই সফলতা যার দিক নির্দেশনা, দূরদর্শীতা, অর্থ সহায়তা ও নেতৃত্বের গুণে সম্ভব হয়েছে তিনি হলেন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক। বিগত ১৮ বছরের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়। এই আন্দোলনে হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিগত প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের ন্যায় রাজপথে রক্ত ঝড়িয়ে, নিজেদের জীবন দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় পর্যন্ত নিয়ে যায়। এখানকার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিটি নেতা কর্মী বিশ্বাস করে ছাত্র জনতার এ আন্দোলনে মূল রসদ যুগিয়েছে জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতিটি ইউনিট। যার নির্দেশনায় ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এদেশের গণ মানুষের দল। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিত বিএনপি’র ঘাটি হিসেবে পরিচিত। এই এলাকার বিএনপি’র নেতা কর্মীরা বিগত সরকারের শত অত্যাচার নিপীড়নে একমাত্র ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক ভাইকে পাশে পেয়েছে। আজকে পরিবর্তিত পরিস্থতিতে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের বিকল্প হিসেবে দু’এক জনের নাম শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তারা জানে না, এই আসনে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের বিকল্প কেউ হতে পারে না। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিটি শক্তি ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক কে তার ত্যাগের যোগ্য প্রতিদান দিতে অধীর আগ্রহে রয়েছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাকেব সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম পাটোয়ারী বলেন, হাজীগঞ্জ- শাহরাস্তিতে আমাদের কাছে নেতা মানে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক। আমরা এক নেতায় বিশ্বাসী। যিনি দঃসময়ে দলের নেতা কর্মীদের পাশে ছিলেন, সাধারণ নেতা কর্মীরা তাকেই নেতা মানবে এমনটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া তিনি মেধা ও যোগ্যতাসম্পন্ন নেতা। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির বিএনপি’র রাজনীতিতে তিনি তার সম্পদ ব্যয় করেছেন।আমি বা আমরা কেউই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে কিংবা ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের সাথে বেইমানী করতে পারবো না। তিনি আরো বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি ইউনিটের নেতা কর্মীরা অতীতে যেভাবে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় পরিচালিত হয়েছে এবং বর্তমানে  পরিচালিত হচ্ছে, ইনশাআল্লাহ আগামী দিনগুলোতেও সেভাবেই পরিচালিত হবে। হাজীগঞ্জ বিএনপি’র দুর্গ হিসেবে পরিচিত। এই এলাকা থেকে ধানের শীষের প্রার্থী বার বার জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে। আমাদের কাছে সময় এসেছে সেটা আরেকবার  প্রমাণ করার। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিটি নেতা কর্মী যেভাবে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে শক্তি যুগিয়েছে, ঠিক তেমনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে আমাদের সকলের প্রিয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হককে ধানের শীষে বিজয়ী করতে সেভাবেই কাজ করে যাবে।

হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির বিএনপিতে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও অবদানের কথা জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী ইমাম হোসেন বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্থির বিএনপিতে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক একটি অনবদ্য নাম। তিনি গত ১৮ বছর ধরে নেতা কর্মীদের যেভাবে আগলে রেখেছেন, তাদের বিপদে-আপদে পাশে থেকেছেন, আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন তা অন্য কোন নেতার পক্ষে সম্ভব হতো কিনা তা আমার জানা নেই। তিনি কর্মীবান্ধব নেতা। তরুণ প্রজন্ম যেমনি তারেক রহামেনর প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছে, তেমনি হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে এ প্রজন্মের মাঝে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে জাগ্রত করতে এবং তা দীর্ঘদিন ধরে রাখতে তিনি অসামান্য কাজ করেছেন। তিনি এ এলাকার বিএনপির রাজনীতির জন্য অনেক করেছেন। কিন্তু আমরা নেতা কর্মীরা বিগত স্বৈরাচার সরকারের ভোটারবিহীন নির্বাচন, রাতের ভোটের নির্বাচন ব্যবস্থার কারণে তার জন্য কিছুই করতে পারিনি। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে আগামী দিনে একটি সুষ্ঠু সুন্দর গণতান্ত্রিক ধারার নির্বাচনে ভোট প্রদানের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হককে বিজয়ী করে স্থানীয় রাজনীতিতে তার দীর্ঘদিনের ত্যাগ ও অবদানের প্রতিদান দিতে বদ্ধ পরিকর।

এনজে