দীর্ঘ পাঁচ দশকের বেশি সময়ের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে শেষবারের মতো এসেছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও প্রথিতযশা আইনজীবী মওদুদ আহমদ। তবে চিরচেনা প্রিয় কর্মস্থলে তিনি এসেছেন লাশ হয়ে। সেখানে চোখের জলে প্রিয় সহকর্মীরা তাকে শেষবারের মতো বিদায় জানান।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে মওদুদ আহমদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এ জানাজার নামাজে ইমামতি করেন সমিতির পেশ ইমাম মুফতি হাফেজ আবু সালেহ। এরপর বিচারপতি ও আইনজীবীদের পক্ষ থেকে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জানাজায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি নূরুজ্জামান ননী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সম্পাদক এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, একেএম এহসানুর রহমানসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা অংশ নেন।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টার একটু আগে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মওদুদ আহমদের মরদেহ আনা হয়। এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মওদুদ আহমদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। সকাল নয়টার দিকে মওদুদের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। এরপর বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, জাগপা, এনডিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মওদুদের মরদেহে ফুলের শ্রদ্ধা জানান।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মওদুদ আহমদের মরদেহে ফুলের শ্রদ্ধা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাগপার একাংশের সভাপতি লুৎফর রহমান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ।
মওদুদ আহমদ গত মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মওদুদের মরদেহ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর থেকে মরদেহ গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে নেওয়া হয়। শুক্রবার রাজধানীতে কয়েক দফা জানাজার পর মওদুদ আহমদের নিজে এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে পারিবারিক কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হবে।