ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সংকট নিরসন ও স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে ঢাকা কলেজে ‘ঝটিকা মিছিল’ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে ঢাকা কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এক দল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মূল ফটকে অবস্থান করেন। এ মিছিলে অংশ নেন ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
একই সময়ে একই দাবিতে সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা “অধিভুক্তি নাকি মুক্তি? মুক্তি মুক্তি, টু জিরো টু ফোর অ্যাফিলিয়েশন নো মোর, শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, মানি না মানব না, আর নয় দাসত্ব, হতে চাই স্বতন্ত্র, ঢাবির জায়গায় ঢাবি থাক, সাত কলেজ মুক্তি পাক, নিপীড়ন নাকি অধিকার? অধিকার অধিকার, প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানব না,” ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী স্মৃতি আক্তার বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদেরকে জানান দিতে আজকের কর্মসূচি পালন করেছি। অনেকেই ভাবছেন আমরা টাকা পয়সা খেয়ে ঘুমিয়ে গেছি। আমরা শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসে রাস্তা অবরোধ থেকে সরে আসলেও অভ্যন্তরীন কর্মসূচি পালন করছি। শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সময় দিয়েছেন, সেই সময় পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বারি সাগর বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির প্রেক্ষিতে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে আজকের কর্মসূচি পালন করেছে। শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু নানা দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের কথা আসছে, তাদেরকে জানান দিতেই আজ কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের দাবি আদায় না হলে সামনে আরও কঠিন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাবি অধিভুক্ত করা হয়। কলেজগুলো হচ্ছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। কিন্তু এই কলেজগুলোর উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য প্রত্যাশিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত পরীক্ষা ও ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়াসহ নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত কলেজগুলো। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। সব শেষ গত ৬ নভেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
এনজে