বন্ধ ঘোষণা করা দুইটি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এম এম নীটওয়্যার লিমিটেড ও মামুন নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছে।

বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক এম এম নীটওয়্যার ও মামুন নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটোকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে করে। ওইদিন বিকেলে শ্রমিকদের সাথে কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসার শর্তে তারা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে শর্ত সাপেক্ষে কারখানায় যোগদানের কথা জানায়। কিন্তু শ্রমিকরা তা মেনে নেয়নি। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে দুটি কারখানার শ্রমিকরা কোনাবাড়ী এলাকায় কারখানার সামনে জড়ো হয়। এসময় তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার এবং বিনা শর্তে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানায়। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। পরে কর্তৃপক্ষ ১৮ ডিসেম্বর থেকে কারখানা অনির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।

গত ৩ নভেম্বর বিক্ষোভ চলাকালে শিল্প পুলিশের এক সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন শ্রমিককে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। নিরাপত্তার স্বার্থে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ -২ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দুটি কারখানার শ্রমিকেরা  ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলে আমাদের শিল্প পুলিশসহ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) কোনাবাড়ী থানার সদস্যরাও রয়েছেন।

এনজে