ফরিদপুর শহরের আলিপুরে এক কোরিয়ান নাগরিকের বাড়িতে চুরির ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক ও মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলো, মাদারিপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া গাঙ্গুলিবাড়ি গ্রামের মোস্তফা শেখের ছেলে আসলাম শেখ (২৪), ফরিদপুরের গোয়ালচামট শ্রী অঙ্গন এলাকার সুকুমার দত্তের ছেলে বিকাশ দত্ত (২৫) ও মাদারিপুরের রাজৈরের পলিতা গ্রামের চিরঞ্জীব বিশ্বাসের ছেলে চয়ন বিশ্বাস (৩৮)।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, গত ১৯ নভেম্বর২০২০ তারিখ সন্ধ্যায় কোরিয়ান নাগরিক লী সন অকের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। দোতলা ভবনের গ্রিল কেটে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ১৭ শত ইউএস ডলার, ৮টি মোবাইল ডিভাইস, ১টি ল্যাপটপ চুরি হয়। এ ঘটনায় ওই কোরিয়ান নাগরিকের স্বামী মো. বায়েজিদ রহমান কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
জামাল পাশা জানান, এ ঘটনার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল শনিবার রাতে এসআই আইয়ুব আলী ও এসআই ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল চুরির ঘটনায় জড়িত আসলাম শেখকে আটক করে। এরপর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সেতু জুয়েলার্সের মালিক বিকাশ দত্ত ও চন্দন জুয়েলার্সের মালিক চয়ন বিশ্বাসকে আটক করা হয়। তাদের নিকট হতে চুরি হওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, ৪টি মোবাইল ডিভাইস, ল্যাপটপ ও সিসি টিভির ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের ওসি ডিবি সুনীল কর্মকার জানান, আসলাম শেখ পেশাদার চোর। তার সাথে এই চুরির ঘটনায় আরো একজন জড়িত আছে যাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, লী সন অকের বাড়ি হতে চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার সে জুয়েলারি দোকানি বিকাশ ও চন্দনের নিকট বিক্রি করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসলাম শেখ জানিয়েছে, সে ফরিদপুর শহরের আরো পাঁচ ছয়টি বাড়িতে এমন বড় ধরনের চুরি করেছে। লী সন অকের স্বামী বায়েজিদ রহমান গত বছরের ২৯ আগষ্ট দেশে এসে করোনার কারণে আটকে যান। ১৯ নভেম্বর ছোট ভাইয়ের বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সন্ধা ৬টার দিকে বাড়ি হতে বের হন। মাত্র এক ঘন্টা পর সন্ধা ৭টার দিকে বাড়িতে এসে দেখেন মালামাল চুরি হয়ে গেছে। চুরির মালামাল উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারের ঘটনায় তিনি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।