Top
সর্বশেষ

কুষ্টিয়ায় দু’পক্ষের বিরোধের জেরে আ.লীগ নেতার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

২৩ মে, ২০২১ ৪:৩০ অপরাহ্ণ
কুষ্টিয়ায় দু’পক্ষের বিরোধের জেরে আ.লীগ নেতার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দু’পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২২ মে) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পিতম্বরবশী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত ব্যক্তি পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ – সভাপতি ও ওই গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে শিপন (৩৫)। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। নিহতের স্বজনরা দাবি করেন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এদিকে খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌছে শিপনের লাশ উদ্ধার করে। রোববার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নিহত শিপনের লাশ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমনের নেতৃত্বে মৃত আকবরের ছেলে কবির, কালাইয়ের ছেলে মিজান, বাবলু মাস্টার, ময়েনসহ অনেকে শনিবার রাত আনুমানিক ১১ টায় শিপনকে গোদের বাজার এলাকা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে কবিরের বাড়ির সামনে রাস্তায় পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকের উপর কোপ মারে। এতে ঘটনাস্থলেই শিপনের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কবিরে স্ত্রী রহিমা খাতুন জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে মসজিদের জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে শনিবার রাত ১২ টার দিকে জাফর গ্রুপের এনামুল, এরাশাদ সহ অনেকে মানুষ ছুরি (চাকু) ইট, লাঠি নিয়ে আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এ সময় ধারালো ছুরির আঘাতে শিপনের মৃত্যু হয়।

এলাকাবাসী জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর গ্রুপের সাথে পান্টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল ।এই বিরোধের জের ধরেই শনিবার রাতে শিপন খুন হন।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর বলেন, প্রতিপক্ষের নেতা শনিবার বিকেলে গোদের বাজারে তার নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং করেন। আর রাতে আমার সমর্থিত শিপনকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। পরে সুমনের বড় ভাই মামুন মুঠোফোনে জানান , আমার ছোট ভাই একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেয়। সে কারণে এলাকায় কোন কিছু হলেই সমুনের দোষ হয়। তবে এঘটনায় সমুনের কোন হাত নেই।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র এলাকায় জাফর ও সুমন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে শনিবার রাতেও দুইপক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিপন নিহত হন । তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শেয়ার