প্রেস শ্রমিক রমজান আলীর (৩০) গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর বাজারে পৌঁছার পর স্ত্রীর সাথে শেষ কথা হয়। সে সময় রমজান স্ত্রীকে জানান কিছুক্ষণের মধ্যেই সে বাড়িতে পৌঁছবেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি রমজান।
গতকাল শুক্রবার সকালে শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামে ফসলের মাঠ থেকে ওই প্রেস শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রমজান আলী (৩০) গ্রামের মৃত লেবু মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকার উত্তরা এলাকায় একটি প্রিন্টিং প্রেসের কর্মচারী ছিলেন। রমজান এক কন্যা সন্তানের জনক।
রমজানের ফুফাতো ভাই নাসির মিয়া জানান, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন রমজান। রাত ১০টার দিকে রমজান তার স্ত্রীকে জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যেই বাড়ি পৌঁছে যাবেন। কিন্তু ঘণ্টা খানেক পরেও বাড়ি না পৌঁছায় এবং রমজানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হয়। সারা রাত বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় এক বাসিন্দা মরিচ খেতে রমজানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা ও শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর।
এবিষয়ে শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা জানান, নিহত রমজানের গলা, মাথা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।