Top

পুলিশ পরিচয়ে অপহরন করে যৌন নির্যাতন

২৫ জুন, ২০২১ ৭:২৪ অপরাহ্ণ
পুলিশ পরিচয়ে অপহরন করে যৌন নির্যাতন

ফেনী প্রতিনিধি:

ফেনীর দাগনভূঞা বাজারে বড় ভাইয়ের সামনে থেকে পুলিশ পরিচয়ে ছোট বোনকে তুলে নিয়ে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে একদল বখাটে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দাগনভূঞা থানা পুলিশ মামলার প্রধান ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার ও শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা মারজাহান আক্তার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ৫ জনকে আসামী করে দাগনভূঞা থানায় মামলা দায়ের করে।

মামলার আসামিরা হলেন- পৌরসভার আজিজ ফাজিল পুর গ্রামের নেওয়াজ মেম্বার বাড়ির জসিম উদ্দিনের ছেলে ইমামুল হক মিরাজ (২০), ইয়ারপুর গ্রামের সাতবাড়ির মোহাম্মদ হানিফ এর ছেলে শাšত(২৮), উত্তর করিমপুর গ্রামের হাজী জমাদ্দর বাড়ির রহিমুল্লাহ ছেলে মিরাজ মাহমুদ নিরব (২০), আজিজ ফাজিলপুর গ্রামের মোহাম্মদ একরাম এর ছেলে তুহিন (২১) ও আজিজ ফাজিলপুর গ্রামের সুকমল চন্দ্র দে এর ছেলে জনি চন্দ্র দে (২১)।

ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলার বিবরণে জানা যায়, দাগনভূঞা আজিজিয়া মাদ্রাসার ৮ শ্রেণির ছাত্রী ভুক্তভোগী ওই কিশোরী ও তার ভাই বুধবার সন্ধ্যার পরে দাগনভূঞা বাজারে কেনাকাটা করার জন্য আসে। পরে তারা কাঁচা বাজার শেষ করে বসুরহাট রোড স¯তা বাজারের ভিতরে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে মার্কেটে ঢুকে। কেনাকাটা শেষে পরবর্তীতে তারা মার্কেট থেকে বেরিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি খাবার দোকানে না¯তা করে। এ সময় মামলার প্রধান আসামি ইমামুল হক মিরাজ ওই কিশোরী ও তার ভাইকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে আটক করে। এবং তাদেরকে প্রেমিক-প্রেমিকা দাবি করে বখাটে যুবকরা। সময় ভুক্তভোগীরা নিজেদেরকে ভাই-বোন বলার পরেও আসামি ইমামুল হক মিরাজ এটি মানতে রাজি হয়নি। পরে ওই কিশোরীর মায়ের সাথে কথা বলে তবুও মিরাজ বিশ্বাস করতে রাজি হয়নি। আসামি মিরাজ তার সহযোগী বন্ধুদেরকে মুঠোফোনে খবর দিয়ে ডাকবাংলা রোডে আসতে বলে।

একপর্যায়ে ওই কিশোরী ও তার ভাইকে আলাদা করে বখাটেরা ফের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় ওই কিশোরী গায়ে হাত দিয়ে যৌন নির্যাতন চালায় বখাটেরা। পরবর্তীতে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে আসামিরা কিশোরী ও তার ভাইকে পৃথক রিক্সায় তুলে কিশোরীকে ইকবাল কলেজ রোড এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে গজারিয়া সংযোগ সড়কের নির্জন স্থানে চালানো হয় যৌন নিপীড়ন। ঘটনাটি জানাজানি হলে রাত দশটার দিকে ওই কিশোরীকে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় পৌঁছে দেয় বখাটেরা।

স্থানীয়রা জানায় এসব বখাটেরা কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য। তারা প্রতিনিয়ত এলাকায় মেয়েদের যৌন নিপীড়ন ও ইভটিজিং করে আসছে।

দাগনভূঞা থানার ওসি (তদšত) পার্থ প্রতিম দেব জানান, ওই ঘটনায় জড়িত প্রধান তিন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। অপর আসামীদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

শেয়ার