Top

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রদলনেতার বিরুদ্ধে

২৭ জুন, ২০২১ ৭:২৬ অপরাহ্ণ
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রদলনেতার বিরুদ্ধে

ফেনী প্রতিনিধি:

ফেনীতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলালের (৩২) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।শনিবার রাতে বিবি রোখসানা আক্তার লিপি নামে এক ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে দুলালসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের আসামি করে এ মামলা করেন। অভিযুক্ত দুলাল ফেনী শহরের বিজয় সিংহ এলাকার মহিপাল কলেজ সংলগ্ন রুহুল আমিনের ছেলে। এজহারনামীয় অপর চার আসামী হলেন- দুলালের বাবা রুহুল আমিন (৬০), দুলালেল মা মালেকা বেগম (৫০), দুলালের দুই ভাই মামুন (২৮) ও মিজান (২৫)।

মামলার এজহারে বাদি বিবি রোখসানা আক্তার লিপি উল্লেখ করেন, ‘আমি শহরের শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়কের এফ রহমান এসি মার্কেটে কাজ করে। গত দু’বছর ধরে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলালের সাথে আমার প্রেমেরে সম্পর্ক রয়েছে। দুলাল তার ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন নম্বর থেকে আমার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে ও ওয়ার্টসআপ এ্যাপে আমার সাথে নিয়মিত কথা বলতো। এ সময়ে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্ুতি দিয়ে ফেনী শহরের বিভিন্ন রেস্ট্রুরেন্ট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ও বন্ধুদের বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলো।’

এদিকে মামলার এজহারে বাদি আরও উল্লেখ করেন, ‘বাদি বিয়ের জন্য আসামী দুলালাকে চাপ দিলে সম্প্রতি দুলাল বাদির শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়কের গাজী হোটেল সংলগ্ন নাছির ম্যানশনে বাসায় যেয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে হুজুর ডেকে বিয়ে পড়িয়ে মৌখিক ভাবে ২০ লাখ টাকা কাবিন করেন। এর পর গত ৬ জুন রাতে দুলাল বাদির বাসায় যেয়ে স্বামীর অধিকার নিয়ে বাদির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরদিন ৭ জুন সকালে বাদির বাসা থেকে দুলাল বেরিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি দেয় সে বাদিকে বিয়ে করবে না এবং সামাজিক স্বীকৃতিও দিবে না। সাথে কাবিনের কোন টাকাও বাদিকে দিবে না।’

এ ব্যপারে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘জেলা ছাত্রদলের আসন্ন কমিটিতে যেন গুরুত্বপূর্ণ পদে না আসতে পারি তার জন্য একেরপর এক চক্রাšত চলছে। এটিও চক্রাšেতর একটি অংশ। তিনি এমন কোন ঘটনার সাথে জড়িত নন বলেও দাবি করেন।’

ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/৩০ ধারায় থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর হোসেনকে মামলার তদšতভার দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ওসি জানিয়েছেন।

শেয়ার